দা-বল্লম নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত ৩
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দা, বল্লম, ছুরি নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রের বুথ থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা পরস্পরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মেরেছেন। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য ও দুজন পোলিং এজেন্ট আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সকালে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। ভোট স্থগিত করার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সেখানে দা, বল্লম, ছুরি নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় আজ রোববার ভোট নেওয়া হচ্ছে।
কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ঘটনায় আহত তিনজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান খান, পোলিং কর্মকর্তা প্রবাংশু দাস ও দীপালি রানী ভৌমিক।
সরেজমিন দেখা যায়, কেন্দ্রটিতে যেখানে-সেখানে ব্যালট পেপার পড়ে রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।
উপজেলায় নৌকা প্রতীকে আল আমিন চৌধুরী ও আনারস প্রতীকে অবনীল মোহন দাস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অভিযোগ ওঠে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নৌকার সমর্থকেরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেন আনারস প্রতীকের সমর্থকেরা। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
সকালে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মুক্তাদীর হোসেন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ব্যালট পেপার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ কারণে ভোট নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৯৩৬। তবে স্থগিত হওয়ার আগে কত ভোট গ্রহণ হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য দেননি।
কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাসুদ পারভেজ জানান, প্রার্থীদের এজেন্টরা ঘন ঘন বুথ থেকে বের হচ্ছিলেন, ঢুকছিলেন। তাঁদের এত ঘনঘন যাতায়াত না করে এক জায়গায় বসার অনুরোধ করা হয়েছিল। এতে এজেন্টরা একজোট হয়ে খেপে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তবে আনারসের এজেন্ট আবদুল আওয়াল দাবি করেন, নৌকার সমর্থকেরা জোর করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ ছাড়া আটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইয়ারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।