সদ্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে দোষারোপ করে ১৪–দলীয় জোটের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু যদি গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন, তাহলে হয়তো এত দিনে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরানো সহজ হতো।
আজ শনিবার দুপুরে ১৪–দলীয় জোটের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দিলীপ বড়ুয়া এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যিনি শিল্পমন্ত্রী (আমু) ছিলেন, তিনি যদি সিরিয়াসলি নিতেন, তাহলে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন রিলোকেট করা সহজ হতো।’
সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘কেমিক্যাল বিজনেস রিলোকেট করার জন্য আমি মন্ত্রী থাকাকালে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেমিক্যাল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিক, তারা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা ঢাকার বাইরে একটি জমিতে স্থানান্তরিত হবে। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল। কিছু ডিসক্রিট ব্যাপারের কারণে পুরো ব্যাপারটি এগোয়নি। ঢাকাকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ করতে “সোশ্যাল করপোরেট রেসপনসিবিলিটি” যেভাবে গড়ে ওঠার কথা, তা সেভাবে হয়নি।’
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, যাঁরা স্টেক হোল্ডার আছেন, তাঁরা সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি। ভবনমালিকদেরও দায় আছে। তারা বেশি ভাড়া পাওয়ার জন্য গোডাউন ভাড়া দেন এবং ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখেন। তিনি আরও বলেন, রাসায়নিকের মজুতের সনদ দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সিটি করপোরেশনকে আরও কঠোর হওয়া উচিত।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজুল হক, বাসদের (বাসদ-মাহবুব) আহ্বায়ক রেজাউর রশীদসহ ১৪ দলের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চুড়িহাট্টায় গত বুধবার রাতে আগুনের ঘটনায় ৬৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা। এর আগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে নিহত মানুষের সংখ্যা ৭৮ জন উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা জানানো হয়েছে ৪১ জন। ঘটনাস্থলের চারটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভবনগুলোতে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।