বিএনপির 'আবদার' শিশুদের কান্নাকাটির মতো: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপির প্রতি অনেক বদান্যতা দেখিয়েছেন। যে দলের নেত্রী নিজের জন্মের তারিখ বদল করে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করার জন্য কেক কাটেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে যাবেন না, এটা খুব স্বাভাবিক।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এই মন্তব্য করেন। বিএনপির নতুন ভোটের দাবিকে ‘আবদার’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা শিশুদের কান্নাকাটির মতো।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জোটকে চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিশেষ করে যারা গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক এই আমন্ত্রণে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সাড়া দেয়নি। তাদের সাড়া না দেওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যারা নেতিবাচক রাজনীতি করে, তারা এই চা-চক্রে যাবে না। যারা মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে, রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে—তারা এই চা-চক্রে যাবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো ফুটবল ম্যাচে ১০ গোল খেয়ে হেরে যাওয়ার পর কেউ যদি আবার খেলার আবদার করে, তা কেবল ছোট শিশুদের কান্নাকাটি ছাড়া আর কিছুই নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার ৫ বছর সফলভাবে দেশ পরিচালনা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও আগামী ৫ বছর সরকার দেশ পরিচালনা করবে। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ৫ বছর পর আবার নির্বাচন হবে। ইতিবাচক রাজনীতি করার মাধ্যমে ৫ বছর পর আবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করতে হবে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশিরা মেধাবী। সারা বিশ্বে বাংলাদেশিরা মেধার সাক্ষর রাখছে। আজ যে লাখ লাখ প্রবাসী বিদেশে আছেন, তাঁরা তাঁদের শ্রম আর মেধার সাক্ষর রাখতে পারছেন বলেই সেখানে তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে থাকতে পারছেন। শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে অনেক কিছুই করেছে। তিনি বলেন, তিনটি এনআরবি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করা হয়েছে। যারা রেমিট্যান্স বেশি পাঠাচ্ছেন, তাঁদের সম্মানিত করা হচ্ছে। সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিলে সেখানে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসীদের বিষয়ে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, প্রবাসীরা যেন প্রবাসে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। প্রবাসীরা প্রবাসে বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূত। তাঁরা তাঁদের আচার-আচরণের মাধ্যমে বিদেশেও দেশের সম্মান তুলে ধরতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রবাসীরা সচেতন। প্রবাসে গুটিকয়েক মানুষের জন্য যেন দেশের সম্মান নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে প্রবাসীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।