জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন, পাবলিক (জনগণ) তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরামের দুই সাংসদের শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
দলের বর্ধিত সভা শেষে অনুষ্ঠিত সাংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ। এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ আনলেও এ ব্যাপারে তাঁর দলের প্রার্থীরা কোনো মামলা করবেন না বলে নিশ্চিত করেন তিনি। অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। মামলা ঠিকভাবে উপস্থাপন করলেও কমিশন তা খারিজ করে দিতে পারে। তাই মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দল। বর্তমান সরকারের ব্যাপক দলীয়করণের কারণে মামলা করে কোনো ফল আসবে না বলে মনে করছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, কুঁড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ। গত কয়েক দিন ধরে ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের হয়ে নির্বাচিত দুই সদস্যের শপথ নেওয়ার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকেরা। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে গণফোরামের দুই প্রার্থী নয়, এক প্রার্থী। তাঁর নাম মোকাব্বির খান। আরেকজন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মুক্তিযুদ্ধে কোথায় ছিল জানি না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদের সময় সে আমার সহকর্মী ছিল, আমি তাকে অত্যন্ত স্নেহ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিল। তাঁকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে, শপথ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে।’
পাকিস্তান শাসনামলে বুনিয়াদি গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি কীভাবে হেনস্তা হয়েছিলেন সে উদাহরণও তুলে ধরেন কাদের সিদ্দিকী। এ ছাড়া শপথ নেওয়ার বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন কি নেবেন না এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ সরকারের এত মাথা ব্যথা কেন?