শিক্ষা খাতে দুর্নীতি বন্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে ফেরেন তিনি। সকালেই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে আরও কঠোর হব আমরা। আসলে প্রশ্নপত্র মুদ্রণ যেমন করতে হবে তেমনি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র তৈরির পরিকল্পনা আছে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কা থাকবে না। মুদ্রণের বিষয়টা কমিয়ে আনতে চিন্তাভাবনা চলছে।’
উপমন্ত্রী আরও বলেছেন, চট্টগ্রামে নতুন করে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। যেসব সরকারি স্কুল-কলেজ আছে সেখানে আরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে আসনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অভিভাবকদের প্রশ্নপত্রের পেছনে না দৌড়াতে আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল বলেন, ‘প্রশ্নপত্র চাই- এই মানসিকতা পরিহার করুন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এবং সিলেবাসের ওপর শিক্ষার্থীরা জোর দিলে এই সমস্যা থাকবে না।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমাদের সন্তানেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বিস্তৃত করতে দাতা সংস্থাসহ সরকারের অর্থায়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হবে, যা আমাদের ইশতাহারে উল্লেখ আছে। আসলে আগামী দিনে শিক্ষা হবে কর্মমুখী। অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা আমাদের লক্ষ্য।
মহিবুল হাসান চৌধুরী চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ ছেলে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও তিনি।
আজ সার্কিট হাউসের মতবিনিময় সভায় মহিবুল আরও বলেন ‘আমি আপনাদের সন্তান। আপনাদের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা রেখে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার প্রতিদান দেব।’
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি খোরশেদ আলম , ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন, ‘নওফেল (মুহিবুল হাসান চৌধুরী) আমাদের সন্তান। তাঁকে নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা তাঁকে সহযোগিতা করব।’