ফুলের মালার ফরমাশের হিড়িক!
রাত পোহালেই কাল রোববার সকাল থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, সে ভাগ্য নির্ধারিত হবে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন। প্রস্তুতি হিসেবে সবার আগে ফুলের মালা সংগ্রহের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করছেন তাঁরা। শহরের দুটি দোকানে ফুলের মালা, তোড়ার ফরমাশ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। নির্বাচন শেষে জয়ী প্রার্থীর গলায় তাঁরা এসব মালা পরাবেন।
আজ শনিবার ভোলা শহরের দুটি বড় ফুলের দোকান ঘুরে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শহরের সদর রোডে বাংলা স্কুলের মোড়ে ‘আনন্দ স্টোর’ এবং কে জাহান শপিং কমপ্লেক্সের পাশে ‘বিয়ের বাজার’ নামে দুটি ফুলের দোকানে অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুল দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুল বিক্রেতারা জানান, জেলার চারটি আসনের আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা ফুলের মালার অর্ডার দিচ্ছেন। পাঁচ শতাধিক মালার অর্ডার পেয়েছেন তাঁরা। একেকটি মালার মূল্য ধরা হয়েছে ২০০-৩০০ টাকা। অন্য সময়ে এর দাম আরও কম থাকে। অগ্রিম মূল্য নিয়ে মালার অর্ডার নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুল বিক্রেতারা মালা তৈরি করছেন। এসব মালায় গাঁদা ও গোলাপ দেওয়া হচ্ছে। মালার পাশাপাশি ফুলের তোড়ারও অর্ডার পাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁরা জানান, সাধারণত প্রতিদিন ৮–১০টির মতো মালা বিক্রি হয়। নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি ফুলের ফরমাশ পেয়েছেন। বিশেষ দিন—যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, পয়লা বৈশাখ ছাড়া এত বেশিসংখ্যক অর্ডার তাঁরা পান না। গতকাল বিকেলে এবং আজ সারা দিন অর্ডার নেওয়া হয়েছে। বাড়তি ফুল ঢাকা ও বরিশাল থেকে তাঁরা সংগ্রহ করছেন। লঞ্চে করে ফুলগুলো ভোলা পৌঁছায়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ করেছেন। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তোফায়েল ভাই বলেছেন, জাল ভোট নয়, কেন্দ্রে গিয়ে সবাই যেন ভোট দেন।’
এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় তোফায়েল আহমেদ বিভিন্ন পথসভায় ও সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পরাজয় সুনিশ্চিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে আবার সরকার গঠন করবে। ৩০ ডিসেম্বর একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে চলেছে। ভোলার মানুষ যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ। ভোলায় সত্তরের মতো নৌকার পক্ষে গণজোয়ার রয়েছে। ভোলার চারটি আসনই আওয়ামী লীগের জন্য নিশ্চিত।