শেষ দিনে জমজমাট নড়াইল-১ আসন
শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। লোহাগড়া উপজেলায় ১২টি পথসভায় বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। রাত পর্যন্ত গণসংযোগ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এ জেড এম ফরিদুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার গণসংযোগ করেননি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
নড়াইল-১ (কালিয়া-সদরের একাংশ) আসনে গতকাল দুটি প্রধান জোটের প্রার্থীরা সমান প্রচারণা চালিয়েছেন। এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস ১৬টি পথসভায় বক্তব্য দিয়েছেন। উঠান বৈঠক করেন আটটি। নৌকার প্রার্থী বি এম কবিরুল হক বড়দিয়া কলেজ মাঠে বিকেলে বিশাল জনসভা করেছেন। বড়দিয়া আসার পথে ১৩টি পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
মাশরাফি শুরু করেছিলেন বেলা ১১টায় নলদী বাজারে পথসভায় বক্তব্য দিয়ে। এরপর ব্রাহ্মণডাঙ্গা ও কলাগাছি বাজার পথসভায় বক্তব্য দেন। ছাত্রহাজারি পৌঁছালে সেখানে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই মো. মনিরুজ্জামান হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান মাশরাফি। হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি পরবর্তী পথসভা স্থগিতের ঘোষণা দেন। কিন্তু নাছোড় নেতা-কর্মীরা। অবশেষে জয়পুর ও লোহাগড়া চৌরাস্তার পথসভা স্থগিত করা হলেও মল্লিকপুর ও ইতনা ইউনিয়নের বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
ফরিদুজ্জামান ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকালও গণসংযোগ করেননি ফরিদুজ্জামান। আগের দিনও বাসা থেকে বের হননি। তবে মঙ্গলবার বিকেলে মল্লিকপুর ও লোহাগড়া ইউনিয়নের আটটি গ্রামে গণসংযোগ করেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ২২ ডিসেম্বর প্রথম নড়াইলে আসেন মাশরাফি। সেই থেকে তিনি টানা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ তুলনায় বলতে গেলে মাঠেই ছিলেন না ফরিদুজ্জামান। পাঁচ-ছয় দিন গণসংযোগ করেছেন লোহাগড়া সদরে ও উপজেলার দক্ষিণ এলাকায় মল্লিকপুর, ইতনা, দিঘলিয়া ও লোহাগড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। এক দিন গিয়েছিলেন লোহাগড়ার উত্তর এলাকার নোয়াগ্রাম, শালনগর ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। একদমই গণসংযোগ করেননি সদর উপজেলায়। তাঁর সমর্থকেরাও আলাদাভাবে করেননি কোনো গণসংযোগ।
এ বিষয়ে ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘গণসংযোগ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েছি। বিএনপির কিছু কিছু লোকও অসহযোগিতা করেছে। তারপরও যতটুকু পেরেছি, গণসংযোগ করেছি। তবে অবাধে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিজয়ী হব।’
কবিরুল হকের বড়দিয়া কলেজ মাঠে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজা মিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন উর রশিদ প্রমুখ।