৫ বছরে নজিবুল বশরের আয় বেড়েছে ৫ গুণ
সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রায় পাঁচ গুণ আয় বেড়েছে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর। বর্তমানে তাঁর বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ৪৯ হাজার, ২০১৪ সালের আগে যা ছিল ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
নজিবুল বশর এবারও মহাজোট থেকে ফটিকছড়ি আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত বুধবার মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে তাঁর ও নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পত্তির পরিমাণ পাওয়া গেছে। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের গত ৫ বছরে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ না বাড়লেও অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য বেড়েছে। সাংসদ হিসেবে গত পাঁচ বছরে ভাতা পেয়েছেন ২৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
হলফনামার তথ্য প্রসঙ্গে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার সব বৈধ আয়। কীভাবে আয় হয়েছে তার বিস্তারিত সব তথ্য হলফনামায় জমা দিয়েছি। কোনো কিছু গোপন করিনি। সবকিছুর আয়কর দেওয়া হয়েছে। আমার নামে কোনো ঋণ না থাকলেও ছেলেদের ঋণ আছে।’
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল আনোয়ারের কাছে হেরে যান। ২০০৮ সালে তিনি নির্বাচন করেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তরিকত ফেডারেশন হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হন।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, গতবার নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পেশা ছিল পরামর্শক। এখন তিনি পরামর্শকের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁর, স্ত্রী ও দুই পুত্রের অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ২ কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আগে তাঁর কোনো স্থায়ী আমানত (এফডিআর) না থাকলেও বর্তমানে ১৫ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। গত নির্বাচনের আগে স্ত্রী ও ছেলেদের নামে গাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তাঁদের গাড়ি আছে।
অবশ্য নজিবুল বশরের দাবি, গাড়ি আগে যা ছিল এখনো তা আছে।
২০১৪ সালের আগে নজিবুল বশর ও তাঁর স্ত্রীর নামে ব্যাংক ঋণ ছিল ২৮ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬ টাকা। এখন স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে ব্যাংক ঋণ আছে ৩৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নজিবুল বশরের নগদ টাকা ছিল ৪ লাখ ৩৪ হাজার, এখন আছে ৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা। নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁর পুত্রের ব্যবসার মূলধন ছিল ৪২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ ১৪ হাজার টাকায়।
হলফনামায় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি সড়কের উন্নয়নে ২৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান আছে। হাটহাজারী-ফটিকছড়ি সড়ক প্রশস্তকরণে ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। সম্প্রতি এই প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হয়। এখনো কাজ শুরু হয়নি।