নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসীসহ সাধারণ নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ হাটে প্রধান সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান, ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, মীরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হেলালুর বসুনিয়া, মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষক হামিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র বর্মণ প্রমুখ।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এরপর গত পাঁচ বছরে ক্ষমতায় থেকে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে মহাজোট আসনটি জাতীয় পার্টিকে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আসনটিতে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের ও মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলকে জোটের মনোনয়ন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা নরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফারুক কাদের মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান স্বাধীনতাবিরোধী কাজী কাদেরের ছেলে। অপর প্রার্থী মেজর রানা এলাকায় অপরিচিত মুখ। ফারুক কাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্বাধীনতার সপক্ষের অনেকেই ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। জনসংযোগ না থাকায় রানার জয়ও অনিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের পক্ষে বর্তমান সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয় নিশ্চিত হবে।
মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর খান বলেন, এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত হওয়ায় কয়েকবার এখান থেকে জামায়াতের প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সেটি উদ্ধার করেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, জনগণের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক সম্পৃক্ততা আছে। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় নিশ্চিত হবে।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মীরগঞ্জ হাটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই কর্মসূচিতে স্থানীয় অনেক মানুষ অংশ নেন।