তিন পার্বত্য জেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩২ প্রার্থী
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৩২ জন প্রার্থী গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রথম আলোর প্রতিনিধির পাঠানো খবর।
রাঙামাটি
রাঙামাটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১২ জন প্রার্থী। এ নিয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয় সরগরম হয়ে উঠে। রাঙামাটির রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কে এম মামুনুর রশিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। তাঁরা হলেন বিএনপির মনি স্বপন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। আগের দিন গত মঙ্গলবার জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রার্থী সাংসদ উষাতন তালুকদার ও আরেক নেতা শরৎ জ্যোতি চাকমা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ছাড়া ইউপিডিএফের প্রার্থী শান্তি দেব চাকমা, একই দলের কেন্দ্রীয় নেতা সচিব চাকমা, জাতীয় পার্টির পারভেজ তালুকদার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওর্য়াকাস পার্টির জুঁই চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর কান্তি দে, আশীষ কুমার দাস গুপ্ত ও জসিম উদ্দিন তালুকদার।
খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের একজন, বিএনপির তিনজন এবং জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও ইসলামী আন্দোলনের একজন করে প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে ইউপিডিএফ সমর্থিত আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য সমীরণ দেওয়ান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, গণফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল জব্বার গাজী, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সমীর দত্ত চাকমা, ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব চাকমা ও নতুন কুমার চাকমা।
বান্দরবান
বান্দরবানে নয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিএনপির সাচিংপ্রু জেরী, মাম্যাচিং মারমা, উম্মে কুলসুম সুলতানা, জেলা আওয়ামী যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি শওকতুল ইসলাম, ইসলামি শাসনতন্ত্রের বাবুল হোসেন, স্বতন্ত্র নাথানা লনচেও বম ও রাজকন্যা ডনাইপ্রু নেলী।