পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী আনিসুল হক চৌধুরী

আনিসুল হক চৌধুরী
আনিসুল হক চৌধুরী

কক্সবাজার-৩ (সদর ও রামু) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ নির্বাচিত হলে কক্সবাজারসহ দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন আনিসুল হক চৌধুরী (সোহাগ)।

পর্যটন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক চৌধুরী কক্সবাজারের পেঁচার দ্বীপ সৈকতের পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজমপল্লি ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহসভাপতি। এই আসনে আওয়ামী লীগের ২৭ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

ভাষাশহীদ আবদুস সালামের দৌহিত্র আনিসুল হক চৌধুরী গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য কক্সবাজারের হিমছড়ির পাহাড়চূড়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করতে চান, যা হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু পর্যটন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ছাড়াও বেকার সমস্যা দূর করে মাদকমুক্ত কক্সবাজার গড়ে তোলাই তাঁর স্বপ্ন।

২০০৪ সালে আটজন কর্মী নিয়ে মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন আনিসুল হক চৌধুরী। চলতি বছরের মধ্যে সেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি।

আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত মারমেইড ইকো ট্যুরিজম দেখে প্রশংসা করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের একাধিক সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, টিউলিপ সিদ্দিক। তাঁদের অনুপ্রেরণাই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর এগিয়ে চলার পাথেয়।

আনিসুল হক চৌধুরীর মূল বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা। তবে তাঁর পরিবার ১৭ বছর ধরে কক্সবাজারে বসবাস করছে।