দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার নতুন করে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বলছেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গলকে ছাড় দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কর্মীরা। নতুন করে আরও একটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে তোলা।
কেবল রূপগঞ্জ নয়, নারায়ণগঞ্জের কোনো আসনই লাঙ্গলকে না দেওয়ার দাবির কথা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমিই জেলার পাঁচটি আসনে নৌকা দাবি করেছি। বর্তমানে এটা নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের নেতা–কর্মীর প্রাণের দাবি। প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমরা অনুরোধ করেছি, নারায়ণগঞ্জে যেন লাঙ্গল না দেওয়া হয়। আশা করি নেত্রী নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের হতাশ করবেন না।’
রূপগঞ্জে লাঙ্গল মেনে নেওয়া হবে না উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে লাঙ্গলের ফলার আঘাতে নৌকা জর্জরিত। এখানে আমাদের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমরা বলছি, রূপগঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকা চাই।’
রূপগঞ্জে পরিকল্পিতভাবে এরশাদকে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে রূপগঞ্জবাসীর জমি দখল করতে চান, তাঁদের জন্য আমি বাধা। সে কারণেই আমাকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’ তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি দলের নীতিনির্ধারকেরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আগে রূপগঞ্জবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালন করেছি। এবার নির্বাচিত হলে আরও উন্নয়ন করা আমার পক্ষে সম্ভব। আসনটি লাঙ্গলকে ছেড়ে দেওয়া হলে রূপগঞ্জের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
২০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচনের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।