তিন সাংসদের অস্বস্তির কারণ আতিকুর

তিনটি আসনে মনোনয়ন চাওয়ায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বর্তমান তিন সাংসদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। তিনি মহাজোট থেকে হবিগঞ্জের দুটি ও সিলেটের একটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন চাওয়ায় এই আসনগুলোর বর্তমান তিন সাংসদ অনেকটা বিপাকে পড়েছেন।

আতিকুর রহমান জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা আতিকুর রহমান পেশায় ব্যবসায়ী। ঢাকায় তিনি বসবাস করেন। তাঁর নানার বাড়ি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়। এ সুবাদে তিনি হবিগঞ্জে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন।

আতিকুর রহমান ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি থেকে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাহিরের সঙ্গে। এবারও তিনি এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। পাশাপাশি তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনেও মনোনয়ন চেয়েছেন। এ আসনের বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু। এ ছাড়া আতিকুর রহমান সিলেট-৩ আসনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগের মাহমুদ উল সামাদ কয়েস।

এই তিনটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে আতিকুর রহমান সংসদ নির্বাচন করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করায় অস্বস্তিতে রয়েছেন তিন বর্তমান সাংসদ। কারণ, এ তিনটি আসনের একটিতে তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সে কারণে কার কপাল পুড়বে তা নিয়ে বিপাকে তাঁরা।

>আতিকুর মহাজোট থেকে হবিগঞ্জের দুটি ও সিলেটের একটি আসনে মনোনয়ন চাওয়ায় তিন সাংসদ অনেকটা বিপাকে পড়েছেন।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আতিক অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। তিনি নিজেও জানেন না, তাঁর আসন কোনটি। তিনি শুধু শুধু পরিবেশ অস্থির করে তুলছেন। তবে হবিগঞ্জ-৩ আসনে তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

জানতে চাইলে আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মূলত হবিগঞ্জ-৩ আসনেই তিনি নির্বাচন করতে চান। এ আসনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তবে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি হবিগঞ্জ-১ ও সিলেট-৩ আসনেও দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এখন মহাজোটের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।