পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে সারা দেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে গণপরিবহন, বিশেষ করে বাসের অপেক্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় হাজারো যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সড়কে থাকা বিআরটিসির স্বল্পসংখ্যক বাস মানুষে ঠাসা। যেসব জায়গায় বাস থামে, সেখানে অপেক্ষায় অনেক মানুষ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে আজ সকাল ছয়টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। চলবে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত। সড়ক পরিবহন খাতের শ্রমিকদের এই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
দাবি আদায় না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
আজ ধর্মঘট শুরুর দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিসগামী যাত্রীদের গাড়ির অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গাড়ি না পেয়ে অনেকেই হেঁটে রওনা দেন গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে। কেউ বেশি ভাড়ায় রিকশা অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছেন।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আজ সকাল থেকেই শত শত মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বিআরটিসির দু-একটি বাস আসতেই তাতে উঠতে হুড়োহুড়ি করছেন যাত্রীরা। রাস্তায় অপেক্ষা করতে করতে অনেককেই হাঁটা শুরু করছেন।
মগবাজারে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন শাপলা জাহান। তিনি কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
রাজধানীর মহানগর হাউজিং সোসাইটি থেকে কারওয়ান বাজারে যাওয়ার জন্য নওরীন হাসানকে আজ অন্তত এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। নওরীন বলেন, ‘অন্য দিন পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাস পেয়ে যাই। আজ বাস পাইনি। এরপর সিএনজির জন্য অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম। কিন্তু তাও নেই। রিকশা পেলাম না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সবজি নিয়ে আসা এক ভ্যানওয়ালাকে অনেক অনুনয়-বিনয় করে অবশেষে তাতে করে কারওয়ান বাজারে আসি।’
মালিবাগ, মৌচাক ও মগবাজারে আজ সকাল থেকে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য নেই। মগবাজারে যেখানে বাসের ভিড় লেগে থাকে, আজ সেখানে বিআরটিসির বাসের দেখা মিলছে বেশ খানিকক্ষণ পরপর। যাত্রীতে ঠাসা সেই বাসে উঠতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে দেখা গেছে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের।
রাজধানীর গাবতলী, টেকনিক্যাল, শ্যামলী ও মিরপুর-১-এ শত শত মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।