বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে চিঠি দিয়ে তারা বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে সিপিজে।
২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বরাবর পাঠানো ফ্যাক্স বার্তায় বলা হয়, আইনটি কার্যকর হয়ে গেলে বাংলাদেশের সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে তা বিঘ্নিত হবে।
সিপিজে’র এশিয়া সমন্বয়ক স্টিভেন বাটলার স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়, এই আইনের ফলে সাংবাদিকেরা পেশাগত খুব স্বাভাবিক কাজেও বড় ধরনের আইনগত ঝুঁকিতে পড়বেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘এই বিল সংশোধনের জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে আপনার যে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে তা প্রয়োগ করার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সিপিজে।’
প্রস্তাবিত আইনটির বিভিন্ন ধারা কীভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে তা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গর্ব করার মতো ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় শক্তিশালী প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে এই পরম্পরা হুমকির মুখে পড়বে ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় গণতান্ত্রিক সমাজে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি রয়েছে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিরোধিতার মধ্যেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। এ আইনের কারণে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পক্ষের আপত্তি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।