বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ওড়ার জন্য তৈরি

>• বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
• ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।


দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর রকেটের প্রাক্–উৎক্ষেপণ পরীক্ষা (স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের 

অরল্যান্ডোতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কেনেডি স্পেস সেন্টারে এই পরীক্ষা করে স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এই প্রতিষ্ঠানের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে মহাকাশে পাঠানো হবে।

সফল পরীক্ষা শেষে স্পেস এক্স এ বিষয়ে গতকাল শনিবার টুইটারে এক বিবৃতি দেয়। এতে জানানো হয়, ফ্যালকন-৯-এর ব্লক-৫-এর স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট ঠিকভাবে শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই রকেটে করে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট মহাকাশে যেতে পারে। রকেটের কারিগরি অবস্থা বেশ ভালো। পরীক্ষার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, স্যাটেলাইটের প্রাক্উৎক্ষেপণ পরীক্ষা হয়েছে। এ পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরিতে স্পেস এক্স এখন কাজ করছে। প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে ওরা আমাদের উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ জানিয়ে দেবে। এখন আমরা ওই প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। গত ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাডে স্যাটেলাইটটি পৌঁছায়।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য তৈরি এ স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের জন্য আর বাকি ২০টি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। সফলভাবে মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।