বজ্রপাতে প্রাণহানি: আট জেলায় ৮ জন
বজ্রপাতে শুক্রবার দেশের আটটি জেলায় আটজনের মৃত্যুর হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলাগুলো হলো: পটুয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এ নিয়ে গত চার দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে প্রায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটল।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পূর্ব নওমালা গ্রামে বিকেলের দিকে মারা যান হাবিবুর রহমান সরদার (৪৫)। তিনি ঘটনার সময় মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হাবিবুরের সঙ্গে তাঁর গরুটিও প্রাণ হারায়।
দুপুর সাড়ে ১২ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের পাঠামারা গ্রামে মারা যায় মনির হোসেন (১৬)। সে ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও ওই গ্রামের কৃষক জিতু মিয়ার ছেলে। মাঠ থেকে গরু আনার পথে সে বজ্রপাতের কবলে পড়ে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লিপন মিয়ার (২৫)। লিপন উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ডংপাড়া গ্রামের আকমত আলীর ছেলে। বেলা সাড়ে ১১টায় বাড়ির পাশের চাপড়া বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র শরিফ মিয়া (১৫)। বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার মহিষারকান্দি হাওরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শরিফ মহিষারকান্দি গ্রামের মো. ওয়াছকুরুনীর ছেলে এবং নিজামিয়া মাতলুবুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মারা গেছেন কলেজছাত্র অনয় দেবনাথ (২০)। দুপুরে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সিংগারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় তিনি খেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অনয় ওই এলাকার জয় দেবনাথের ছেলে ও সরকারি সফর আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রাণ হারায় শিশু লাবণি আক্তার (১১)। ঘটনার সময় সে বাবার জন্য খেতে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। লাবণি উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় বরমচাল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জামালপুর পৌর শহরের বাগেরহাটা বটতলা এলাকায় সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত্যু হয় শিশু জান্নাতির (১৩)। বাড়ির উঠানে আম কুড়াতে গিয়ে সে বজ্রপাতের শিকার হয়। জান্নাতি বাগেরহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রী ছিল।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে শ্রমিক জাফর মিয়ার (৪১) মৃত্যু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালু তোলার সময় তিনি বজ্রপাতের কবলে পড়েন। নিহত জাফরের বাড়ি উপজেলার বরহাটি গ্রামে।