২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ক্রমিক খুনি রসু খাঁসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালতে নেওয়া হচ্ছে রসু খাঁকে। তাঁকেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছবি: আলম পলাশ
আদালতে নেওয়া হচ্ছে রসু খাঁকে। তাঁকেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছবি: আলম পলাশ

চাঁদপুরে আলোচিত পারভীন হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় ক্রমিক খুনি রসু খাঁসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চাঁদপুরের নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী ইউনুছ। তাঁদের মধ্যে ইউনুছ পলাতক।

রসু খাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সাতটি, হত্যার অভিযোগে দুটি এবং হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুটি হত্যা মামলায় একটিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকটিতে খালাস দেওয়া হয়।

চাঁদপুরের নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাবিবুল ইসলাম তালুকদার জানান, চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে একসময় ক্রমিক খুনিতে পরিণত হন। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ওই গ্রামে মসজিদের ফ্যান চুরির মামলায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তাঁর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। রসু খাঁ নিজের মুখে স্বীকার করেন ১১ নারী হত্যার কথা। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। রসু যাঁদের হত্যা করেছেন, তাঁরা সবাই ছিলেন গার্মেন্টস কর্মী। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জে এনে ছয়টি, চাঁদপুর সদরে চারটি এবং হাইমচরে একটি মেয়েকে হত্যা করেন।

রসু খাঁ ২০০৭ সালের প্রথম দিকে তাঁর শ্যালক মান্নানের স্ত্রী রীনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী শ্যালকের প্ররোচনায় তিনি রীনাকে হত্যা করেন। রীনার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি রীনাকে মিথ্যে কথা বলে ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুরে এনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ফেলে যান। এরপর তিনি একে একে আরও ১০টি খুন করেন। যাঁদের খুন করা হয়, তাঁদের বয়স ১৭ থেকে ৩৫–এর ভেতর।

খুনি রসু জানিয়েছেন, হত্যার আগে তিনি সব মেয়েকে ধর্ষণ করেননি। শুধু যাঁকে পছন্দ হতো তাঁকেই ধর্ষণ করতেন। আর সবাইকেই সে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। সবশেষ তাঁর ভাগনে জহিরুলকে সঙ্গে নিয়ে ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর ফরিদগঞ্জের পালতালুক গ্রামের পারভীন আক্তারকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দেন।