৭ বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকা উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ গ্রেপ্তার
দীর্ঘ সাত বছর আশ্রিত থাকার পর গ্রেপ্তার হলেন উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাত বছর তিনি লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজৈনিতক আশ্রয়ে ছিলেন।
যৌন নিপীড়নের এক মামলা এড়াতে ৪৭ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সুইডেন ছেড়েছিলেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের পুলিশ বলেছে, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরও আত্মসমর্পণ না করায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, জুলিয়ান পুলিশ হাজতে আছেন। তাঁকে যুক্তরাজ্যেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করায় অ্যাসাঞ্জকে দেওয়া তাঁর দেশের আশ্রয় নীতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে উইকিলিকসের টুইটার থেকে বলা হয়েছে, অ্যাসাঞ্জের এই গ্রেপ্তার মধ্য দিয়ে ইকুয়েডর তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে গত বছরের ১১ জানুয়ারি অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব দেয় ইকুয়েডর ।
২০১০ সালে আড়াই লাখ মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা ও পাঁচ লাখ সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিল উইকিলিকস। এর কিছুদিন পর সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। এরপর গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের সিদ্ধান্তও নেয় ।