ট্যাটুর প্রতি ভালোবাসা ছিল শৈশব থেকে। ১৮ বছর বয়সে শরীরে প্রথম ট্যাটু আঁকান। এর পরের ঘটনা অবাক করবে অনেককে। পরবর্তী ১০ বছরে তাঁর শরীরে জায়গা পেয়েছে অসংখ্য ট্যাটু। সংখ্যাটি ২০০ ছাড়িয়েছে ঢের আগেই। এ জন্য অনেকের কাছে রীতিমতো ‘বিস্ময়-যুবক’ বা ‘ট্যাটু-পাগল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে একাধিকবার অনলাইনে আলোচনা ও সমালোচনা ডালপালাও মেলেছে।
বলছি, সরেন লরেনসনের কথা। লরেনসন নিজেকে নিওন ডেমান নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। ভক্তদের কাছে তিনি এ নামেই বেশি পরিচিত। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিয়ে করে আবার অনলাইন আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন ট্যাটুপ্রেমী লরেনসন।
শরীরের দুই শতাধিক ট্যাটু নিয়ে ঘোরাফেরা করাটা লরেনসনের জন্য সহজ ছিল না। ১৮ বছর বয়স থেকে এ জন্য বেশ ভুগেছেন তিনি। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব কটু কথা শুনিয়েছেন। তবে দমেননি লরেনসন। ১৮ থেকে ২৮ বছর পর্যন্ত এক দশকে ২০০-এর বেশি পছন্দের ট্যাটু শরীরের জুড়েছেন তিনি। ট্যাটুকে তিনি নিয়ে গেছেন রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে। সম্প্রতি নিজের দুই চোখের মণি কৃত্রিম উপায়ে কালো রং করে আরেক দফা আলোচনায় আসেন লরেনসন (২৮)। এ জন্য ৫০ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে তাঁর।
তবে লরেনসনের এমন কাণ্ড মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। বিশেষত চেহারায় ট্যাটু করানোর পর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে ভক্তরা সব সময় লরেনসনকে সমর্থন জুগিয়েছেন।
এখন কেইলি নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন লরেনসন। কেইলি নিজেও ট্যাটুপ্রেমী। তাঁর শরীরেও ট্যাটু রয়েছে। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে লরেনসনের ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে কেইলি লিখেছেন, ‘আমার সুদর্শন স্বামী।’