লন্ডনে 'ইসলাম বিদ্বেষজনিত' অপরাধ বেড়েছে
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ‘ইসলামের প্রতি বিদ্বেষজনিত’ অপরাধের ঘটনা গত এক বছরে প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল সোমবার লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ইউরোপের দেশগুলোতে মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে চলা নানা বিতর্কের মধ্যেই লন্ডনে মুসলিম বিদ্বেষের এমন চিত্র উঠে এল।
লন্ডন পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত জুলাই পর্যন্ত এক বছর সময়ে তারা ইসলামের প্রতি বিদ্বেষজনিত মোট ৮১৬টি অপরাধের ঘটনা রেকর্ড করেছে। যা আগের বছর ছিল ৪৭৮টি। লন্ডনের মধ্যে একক এলাকা হিসেবে এ ধরনের অপরাধ সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ওয়েস্টমিনস্টারে। এখানে গত এক বছরে মোট ৫৪টি ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। বিদ্বেষ বা আক্রমনের শিকার মুসলিমদের মধ্যে কতজন নারী আর কতজন পুরুষ কিংবা তাদের পরিধেয় কেমন ছিল এসব বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করেনি পুলিশ।
তবে তারা মনে করে, অপরাধ সম্পর্কে তথ্য নিবন্ধের আধুনিকায়নের জন্যই ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে থাকতে পারে।
এদিকে যুক্তরাজ্যে ইসলাম বিদ্বেষের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি দাতব্য সংগঠন ‘টেল মামা’ (মেজারিং অ্যান্টি মুসলিম অ্যাটাক্স) প্রকাশিত পরিসংখ্যানের প্রতিক্রিয়ায় বিবিসিকে বলে, ইসলাম বিদ্বেষের ঘটনাগুলোর প্রাথমিক শিকার হয় নারীরা এবং এ সংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ফিয়াজ মুঘল বলেন, হিজাব বা বোরকা পরিধান নারীরা রাস্তায় চলার সময় কটূক্তি বা লাঞ্ছনার শিকার হন। আর যারা নেকাব পরিধান করেন তাদের প্রতি আক্রমণটা হয় আরও ভয়াবহ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা দুই সন্তানের মা জোনি ক্লেয়ার্ক বিবিসিকে বলেন, তার পরিবার দক্ষিণ লন্ডনের পেনজি এলাকা থেকে পূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত হোয়াইটচাপেল এলাকায় স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে। কেননা তিনি প্রতিদিনই বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হচ্ছিলেন। ওই আচরণগুলো তার সন্তানদের গভীরভাবে ব্যথিত করছিল। যে কারণে সন্তানদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অন্যত্র চলে আসা ছাড়া তাঁর কোনো উপায় ছিল না।