মিলল শান্তিরক্ষা মিশন চালু রাখার বাজেট

জাতিসংঘ
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দূর হয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো আগামী বছরের জন্য ১২টি শান্তিরক্ষা মিশন চালু রাখতে প্রয়োজনীয় বাজেটের ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে প্রয়োজন ছিল ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার বাজেট প্রতিবছরের ১ জুলাই নির্ধারিত হয়ে থাকে। কিন্তু গত সোমবার পর্যন্ত প্রস্তাবিত বাজেটে একমত হতে পারেনি জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র। এতে শঙ্কায় পড়েছিল শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। কূটনীতিকেরা বলছেন, শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হওয়ার বিষয়টি কোনোমতে এড়ানো গেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটি মঙ্গলবার শান্তিরক্ষা বাজেটে সম্মতি জানায়। এতে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশন চালু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গত সোমবার বলেছিলেন, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে চালু থাকা অধিকাংশ শান্তিরক্ষা মিশনকে বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট পাস না হলে অধিকাংশ কার্যক্রম সীমিত করে ফেলতে হতো।

বাজেট পাসের বিষয়টিতে দেরি হওয়ার জন্য চীনের অনমনীয় অবস্থান ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশের শেষ মুহূর্তের অনুরোধকে দায়ী করেছিলেন কয়েকজন কূটনীতিক।
গত মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিবিদ থিবাল্ট ক্যামেলি বলেন, ‘সময়সীমাকে সম্মান জানাতে আমাদের ক্রমাগত অক্ষমতা পুরো শান্তিরক্ষা অবকাঠামোকে নজিরবিহীন ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। এরপর থেকে ভবিষ্যতে দর-কষাকষির ক্ষেত্রে পাওনার বিষয়টি সময়সীমার মধ্যেই শেষ করতে হবে।’

এর আগে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত না এলে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের সম্পদ, কর্মী ও শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করার এখতিয়ার রাখেন। দুজারিক আরও বলেন, চুক্তি না হলে মিশনগুলোর কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসবে। এর ফলে দেশগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা ও করোনা মোকাবিলায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকা থাকবে না।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাজেটে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট বাজেটের ২৮ শতাংশ সরবরাহ করে। এরপরই রয়েছে চীন। তারা বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখে। সাড়ে ৮ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান।