বিশ্লেষকদের চোখে
মিসরে রক্তক্ষয়ী অভিযান নিয়ে বিশ্লেষকেরা বিভিন্ন মত পোষণ করছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো:
মোহাম্মদ এল মাসরি
অধ্যাপক, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি, কায়রো
আমি চিন্তাও করিনি নিরাপত্তা বাহিনী আরেকটি গণহত্যা চালাতে যাবে। ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারে এমন কেউ আছেন যিনি সংশ্লিষ্টদের এই বলে হুঁশিয়ার করে দেবেন যে ‘শেষ পর্যন্ত এই অভিযান আমাদের ওপরই এসে পড়বে।’ এখন সরকারের বিরোধিতা করতে আরও বড় ধরনের বিক্ষোভ হবে।
ফয়সাল আল ইয়াফি
প্রধান কলাম লেখক, দ্য ন্যাশনাল, আবুধাবি
সেনাবাহিনী গোটা মিসরকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পুরো দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তা হবে উপসাগরীয় অঞ্চল এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
ফাওয়াজ জের্জেস
পরিচালক মিডল ইস্ট সেন্টার, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস
ব্রাদারহুডের সবচেয়ে বড় ভুল হলো মুরসির পুনর্বহাল দাবি করা এবং সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতায় না যাওয়ার পক্ষে কঠোর অবস্থানে থাকা। দুটি স্কয়ারে মুরসিপন্থীদের একটানা অবস্থান সরকারের জন্য বড় বোঝা হয়ে দেখা দিয়েছিল। সামনের দিনগুলোতে ব্রাদারহুডের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়বে। দলটি হয়তো ষাটের দশকের মতো গোপন আন্দোলনের দিকে চলে যাবে।
অ্যানা বয়েড
উপপ্রধান, মিডল ইস্ট অ্যানালাইসিস
আইএইচএস কান্ট্রি রিস্ক
ব্রাদারহুডের অভিযোগ, সেনাবাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা সমর্থকদের আবার সংগঠিত করার চেষ্টা করবে। হত্যাকাণ্ড ও রক্তপাতের কথা তুলে ধরে ইসলামের নামে তারা জনগণের সহানুভূতি পাওয়ারও চেষ্টা করবে। সিএনএন।