দুষ্টু টিয়ার কাণ্ড

টিয়া ‘থর’ ও ক্যাঙ্গারু ‘ব্যাক্সটার’
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বাড়িতে খাঁচায় বন্দী ছিল একটি ক্যাঙ্গারু। সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকটি টিয়াপাখি। হঠাৎ ক্যাঙ্গারুটি লাপাত্তা হয়ে যায়। তা দেখে বাড়ির মালিকের চক্ষু চড়কগাছ। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্যাঙ্গারুটির পালানোর পেছনে দায়ী দুষ্টু একটি টিয়াপাখি। পাখিটি ঠোঁট দিয়ে খাঁচার দরজা খুলে দিয়েছে। এরপরই পালিয়েছে ক্যাঙ্গারুটি।

এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্যাঙ্গারুটির নাম ব্যাক্সটার। আর ‘অভিযুক্ত’ টিয়ার নাম থর। লুইজিয়ানার এক ব্যক্তি (নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি) বাড়িতে ওই ক্যাঙ্গারু রেখেছিলেন। একই খাঁচায় ছিল ডজন খানেক টিয়া। সম্প্রতি ঠোঁট দিয়ে খাঁচার দরজা খুলতে শিখেছিল থর। গত বুধবার এই ‘প্রতিভা’ কাজে লাগায় পাখিটি। খুলে ফেলে খাঁচার দরজা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পালিয়ে যায় ব্যাক্সটার। পুরো ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, ক্যাঙ্গারুটি শহরের পথে পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরছিল। সেটিকে নিরাপদে ধরে গত বৃহস্পতিবার আবার ওই বাড়ির খাঁচায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ‘অভিযুক্ত’ টিয়ার কপালে কী জুটেছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

ব্যাক্সটারের মালিক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান চালান। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম বার্ড রিকভারি ইন্টারন্যাশনাল। বনের পাখিকে প্রাকৃতিক আবাসে ফেরানোর কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। বনে ছেড়ে দেওয়ার আগে সাময়িক সময়ের জন্য খাঁচায় রেখে পাখিদের পরিচর্যা করা হয়। এজন্যই ব্যাক্সটারের সঙ্গে একই খাঁচায় ছিল থর।

যদিও লুইজিয়ানার আইন অনুযায়ী, ক্যাঙ্গারু বন্যপ্রাণী। বনের প্রাণীকে ধরে এনে বাড়িতে খাঁচায় পোষা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে ব্যাক্সটারের মালিক প্রাণীটিকে কেন বাড়িতে খাঁচায় বন্দী করে রেখেছিলেন, তা জানা যায়নি। তিনি আগে একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানা চালাতেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই পরিচর্যার জন্য তিনি ক্যাঙ্গারুটি বাড়িতে এনে রেখেছিলেন।