তুরস্ককে ইউক্রেনে এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাতে বলে যুক্তরাষ্ট্র
তুরস্ককে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার নির্মিত এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে তুরস্কের হাতে। রুশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের জন্য জরুরি এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গত মাসে কয়েক দফায় তুরস্কের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ জানায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যানের তুরস্ক সফরেও এ প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার মিত্রদেশগুলোর প্রতি এস–৩০০ ও এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ রাশিয়ার নির্মিত যুদ্ধ সরঞ্জাম ইউক্রেনকে দিতে বলছে।
ইউক্রেনকে এস–৪০০ ব্যবস্থা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ বা প্রস্তাব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি।
তুরস্কের বিভিন্ন সূত্র ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবে তুরস্কের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, ইউক্রেনে এস–৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপনসংক্রান্ত কারিগরি জটিলতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক উদ্বেগসহ অনেক বিষয় রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নিলে মস্কো থেকে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে বিষয়ও আঙ্কারার বিবেচনায় রয়েছে।
রাশিয়ার নির্মিত ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও নিয়ে থাকে তুরস্ক। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফায় এ ক্ষেপণাস্ত্রের চালান যাওয়ার পর থেকেই তা বাদ দিতে তুরস্ককে বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কের প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর এ সদস্যদেশকে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে চলমান কর্মসূচি থেকে বাদ দিয়েছে।