কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ছাঁটাই করলেন সৌদি যুবরাজ
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে সৌদি রাজপরিবারের দুজন সদস্যও রয়েছেন। রাজকীয় এক আদেশে বলা হয়েছে, সালমান ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে যৌথ বাহিনীর কমান্ডার পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুর্কিকে বরখাস্ত করেছেন।
ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে তাঁর ছেলে আবদুলআজিজ বিন ফাহাদকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, রাজকীয় ওই আদেশে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘সন্দেহজনক অর্থনৈতিক লেনদেন’ বিষয়ে আরও চার কর্মকর্তাসহ ওই দুজনের তদন্ত করা হবে। সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন।
সমালোচকেরা বলছেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে উচ্চপদে থাকা যাঁরা বাধা হতে পারেন, তাঁদের সরিয়ে দিতে চান যুবরাজ সালমান।
এ বছরের শুরুতে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবরে জানানো হয়, সৌদি রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে সৌদি যুবরাজের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুলআজিজ ও সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফও রয়েছেন।
২০১৭ সালে সৌদি রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে রিয়াদের রিতজ-কার্লটন হোটেলে আটক করে রাখা হয়। পরে অবশ্য তাঁদের বেশির ভাগকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের রক্ষণশীল সমাজে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হন মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এগুলো হলো ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা, কানাডায় সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এজেন্টের বিরুদ্ধে হত্যা পরিকল্পনা, ইয়েমেনে সহিংসতা ও সেখানে সরকারি বাহিনীকে সমর্থন জোগানো, নারী অধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান। যদিও নারীদের গাড়ি চালানোসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেন সালমান।