‘ক্লান্ত’ অ্যালবানিজিকে ঘুমাতে বললেন বাইডেন
নতুন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ‘কোয়াড’ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান গেছেন অ্যান্থনি অ্যালবানিজি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারতের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
অ্যালবানিজিকে সবাই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছেন। তবে ব্যতিক্রম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ নিয়েই দীর্ঘ ভ্রমণ করে আসা অ্যালবানিজিকে দেখে শুভরাত্রি জানিয়ে তাঁকে ঘুমাতে বলেন বাইডেন। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া—এই চার দেশের অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াডের সম্মেলন শুরু হয়েছে। টোকিওর সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজি। শপথের পরদিন দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে সম্মেলনে যোগ দেওয়ায় অ্যালবানিজির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বাইডেন এ কথা বলেছেন বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অ্যালবানিজির চেয়ে বেশি সময় ভ্রমণ শেষে প্রথম এশিয়া সফর শুরু করেন বাইডেন। টোকিওর আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন। টোকিওতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজির সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বাইডেন তাঁকে বলেন, ‘প্রথম কোয়াড বৈঠকে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি শপথ নিয়েই উড়োজাহাজে চেপে এখানে এসেছেন। তাই আপনি যখন এখানে থাকবেন, সেই সময় ঘুমান। কোনো সমস্যা নেই। কারণ, আমি জানি না আপনার কি অবস্থা। এটা সত্যিই অসাধারণ।’
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, কোয়াড সম্মেলনের পাশাপাশি বাইডেন ও অ্যালবানিজি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া পৃথকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক করবেন বাইডেন। জো বাইডেন ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অ্যালবানিজি।
গতকাল সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজি। এর এক দিনের মাথায় আজ জাপানের টোকিওতে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গড়তে কোয়াড কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন অ্যালবানিজি।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক তৎপরতা ঠেকাতে ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে কোয়াড জোট গড়ে তোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এর মাধ্যমে এশিয়ায় অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হয়। বেইজিং বলছে, চীনের আধিপত্য ঠেকাতে এটি নতুন মার্কিন চাল।