সবুজ লতাপাতা দিয়ে সাজানো একটি জায়গা।
ঠিক মাঝখানে রয়েছে সাদা রঙের একটি কেক। লাল–হলুদ–ধূসর রঙের চকলেট দিয়ে সাজানো কেকটি। বড় করে লেখা রয়েছে ‘৬৫’ সংখ্যাটি। পাশেই বসে রয়েছে বিশালাকার একটি গরিলা।
নাম ফাতোউ। এটি যেনতেন প্রাণী নয়, ফাতোউ বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক গরিলা। ৬৫তম জন্মদিনে ফাতোউকে এমন রঙিন একটি কেক উপহার দেওয়া হয়েছিল।
ফাতোউর বসবাস জার্মানির বার্লিন চিড়িয়াখানায়। ১৯৫৯ সাল থেকেই চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে প্রাণীটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিন চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ এই গরিলা। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী ফাতোউকে দেখতে চিড়িয়াখানায় ভিড় করেন।
গত বুধবার ছিল প্রাণীটির ৬৫তম জন্মদিন। দিনটি স্মরণীয় করতে রাখতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ফাতোউর জন্য কেক বানায়। চালের আটা, পনির, ফল ও সবজি দিয়ে বানানো হয় কেকটি। আর কেকটির ওপরের অংশ সাজানো হয় রংবেরঙের চকলেট দিয়ে। পুরো কেকটি সাবাড় করে ফাতোউ।
বার্লিন চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ান অউস্ট জার্মান সংবাদমাধ্যমকে জানান, সচরাচর পশ্চিমা দেশগুলোর নিম্নভূমিতে এই প্রজাতির গরিলা দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত একটি গরিলা ৪০ বছর বেঁচে থাকে। ফাতোউ ৬৫ বছর বেঁচে রয়েছে। ১৯৫৯ সালে গরিলাটিকে বার্লিন চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক গরিলা এটি।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক গরিলা ছিল ‘কোলো’। ৬০ বছর বয়সে ২০১৭ সালে মারা যায় প্রাণীটি। তখন থেকে ফাতোউ বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক গরিলার স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে। ২০১৭ সালেই জার্মান টিভি চ্যানেল আরবিবি প্রাণীটিকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রচার করে। ওই তথ্যচিত্রে বলা হয়, ফাতোউর জন্ম ১৯৫৭ সালে পশ্চিম আফ্রিকার বুনো পরিবেশে। সেখান থেকে প্রাণীটিকে জাহাজের নাবিকেরা ফ্রান্সে আনেন। পরে নাবিকদের কাছ থেকে গরিলাটিকে কিনে নেয় বার্লিন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে ছয় দশক ধরে সেখানেই
আছে প্রাণীটি।