এডমন্টনে একুশে উদ্যাপন
কানাডার এডমন্টনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করেছে আন্তর্জাতিক হেরিটেজ ও ভাষা অ্যাসোসিয়েশন। ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের ২৯টি সদস্য স্কুলের অংশগ্রহণে একটি বহু-সাংস্কৃতিক পরিবেশে ইতালিয়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পর সারা বিশ্ব দিবসটি উদ্যাপন করলেও এ ধরনের একুশে পালনের তেমন নজির নেই। প্রবাসীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি এডমন্টনে ভিন্ন মাত্রার উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা ও বর্ণাঢ্য বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে আলবার্টার শিক্ষামন্ত্রী ডেভিড এগেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এডমন্টন সিটি মেয়র ডন আইভসন, আলবার্টা অ্যাসোসিয়েশন ফর মাল্টিকালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সাদিয়া খান এবং একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাইভার্স এডমন্টনের সম্পাদক দেলোয়ার জাহিদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ড. জোসেফিন পিলার্ড ও আইএইচএলএর সদস্য ইমেরিটাস রেনেসাঁ ক্র্যাভিকেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক হেরিটেজ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এন্টোনালা কর্টিজ।
এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডেভিড এগেন বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আলবার্টানদের কাছে একটি স্বচ্ছ বার্তা। এ সময় তিনি ফিলিপিনো ভাষাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির কথা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জানান যে, এ সুযোগ শুধু ফিলিপিনো ভাষাভাষীদের জন্য নয়, অন্যান্য ভাষার জন্যও এ সুযোগ রয়েছে।
পরে এডমন্টন সিটি মেয়র ডন আইভসন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দানের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন এবং তা আন্তর্জাতিক হেরিটেজ ও ভাষা সমিতির কাছে হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাদিয়া খান। মূল বক্তব্য রাখেন দেলোয়ার জাহিদ। এতে ভাষা আন্দোলনের চেতনা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিশ্ব পরিমণ্ডলে একুশের প্রভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির চেতনা বহুজাতিকভাবে বজায় রাখার জন্য উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান।