২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অমিক্রন রোধে ফাইজারের নতুন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনার অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রন রোধে করোনা টিকার নতুন সংস্করণ নিয়ে কাজ করার কথা আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। এবার ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। খবর বিবিসির।

নতুন টিকার পরীক্ষা চালানো হবে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের ওপরে। যাঁরা এখনো করোনার টিকার কোনো ডোজ নেননি তাঁদের নতুন টিকার তিনটি ডোজ দেওয়া হবে। অপরদিকে এর আগেই টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা পাবেন একটি বুস্টার ডোজ।

ফাইজার-বায়োএনটেক যখন নতুন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে, তখন একই কার্যক্রম শুরু পরিকল্পনা করছে আরেক মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মডার্না। শিগগিরই নিজেদের একই ধরনের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে তারা। অপরদিকে অমিক্রন রোধে টিকার নতুন সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

করোনার দাপটে লাগাম টানতে এর মধ্যেই অনেক দেশে বাজারে প্রচলিত টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। দেখা গেছে বাড়তি এই ডোজ করোনা আক্রান্ত রোগীর মারাত্মক শারীরিক জটিলতা এবং মৃত্যু রুখে দিতে বেশ কার্যকর। এমনটি অমিক্রনের বিরুদ্ধেও ভালো ফল দিয়েছে বুস্টার ডোজ।

ফাইজার-বায়োএনটেক বলছে, চলতি বছরে তাদের ৪০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অমিক্রন রোধে নতুন টিকা পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে, এটিও যুক্ত করা হবে ৪০০ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে।

নতুন টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক লোকজনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৫ জনকে প্রথমে বাজারে প্রচলিত ফাইজারের টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হবে। এরপর তাঁরা নতুন টিকার একটি অথবা দুটি ডোজ পাবেন। অপরদিকে এর মধ্যেই প্রচলিত টিকার তিনটি ডোজ নিয়েছেন এমন ৬০০ জনকে একই টিকার বাড়তি একটি ডোজ অথবা অমিক্রন রোধে তৈরি টিকার একটি ডোজ দেওয়া হবে। আর এখনো টিকা নেননি এমন ২০০ জনকে নতুন টিকার তিনটি ডোজ দেওয়া হবে।

গত বছরের নভেম্বরে আফ্রিকায় প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হয়। এর কয়েক দিন বাদেই করোনা টিকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছিল, ১০০ দিনের মধ্যেই ধরনটি রোধে নতুন টিকা প্রস্তুত করবে তারা। তবে প্রচলিত ও নতুন টিকার মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর হবে তা নিয়ে এখনো সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।