লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু
লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগের দিন শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে। এরপর আবার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধবিরতি–পরবর্তী প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে নেওয়া, ইসলামপন্থী আন্দোলনকে নির্মূল করাসহ ‘সব লক্ষ্য যতক্ষণ না আমরা অর্জন করি, ততক্ষণ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সেনারা যুদ্ধবিরতির দিনগুলোতেও প্রস্তুত ছিলেন।’
গাজায় গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি দুই দফা বাড়িয়ে সাত দিন করা হয়। মেয়াদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক চাপ ও হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।
গতকাল ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তারা। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে বেশ কিছু হামলা চালানো হয়েছে। বড় ধরনের হামলার অংশ হিসেবে শুধু শুক্রবার দিবাগত রাতেই ৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ব্যবহারের জন্য ইসরায়েলকে ১০০টি বাংকারবিধ্বংসী বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
গত ৭ অক্টোবর অতর্কিতে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।