৭০ বছরে ভোট দেননি, ট্রাম্পকে হারাতে এবার দিলেন
৭০ বছর বয়সী নারী জুডি কোসিক। জীবনে কোনো দিন ভোট দেননি তিনি। কিন্তু এবার দিয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের অবসানের জন্যই তিনি ডাকযোগে জো বাইডেনকে আগাম ভোট দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট–এর খবরে বলা হয়েছে, জুডি কোসিক দুই সন্তানের জননী। নয় বছরের এক নাতিও রয়েছে তাঁর। জুডির বাড়ি ব্যাটেলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের স্ক্রানটন শহরে। তিনি অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন নানা প্রতিষ্ঠানে। জুডি বলেন, ‘৭০ বছর বয়সেও আমি নিজেকে একজন যুবক হিসেবে মনে করি। আমি বৃদ্ধা নারী নয়। আমি সুন্দর থাকতে পছন্দ করি।’ এ জন্য তিনি নিয়ম করে ব্যায়াম করেন, রুপচর্চা করেন।
জুডি একজন আইরিশ ক্যাথলিক। তিনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন। প্রার্থনাও করেন প্রতিনিয়ত। তবে গির্জায় যান না। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কগুলো দেখেছেন মনযোগ সহকারে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্যাতনে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের শেষ কথা, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’ লেখা বাক্যটিও টেপ দিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের দরজার সামনে টাঙিয়েছেন তিনি।
১৯৬৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন জুডি। কিন্তু ভোট দেননি। জুডি বলেন, ‘আমার জীবনের একটি বড় অংশই ছিল গতানুগতিক ধারার আলাদা। তারপরও আমি বিয়ে করি। সন্তান নিই। কিন্তু আমার পুরো জীবনে ভোটদানের প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। এটা করার কারণ আমি দেখতাম না।’ এবার ভোট দেওয়ার কারণ হিসেবে জুডি বলেন, ‘আমার পুরো জীবনে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু এই বছর ভোট দেওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমি বাইডেনকে পছন্দ করি। কারণ, তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। ট্রাম্প আমাদের ভালো চান না। তিনি (ট্রাম্প) মনে করেন, ভাইরাসের মহামারি শেষ হয়েছে। পুরো বিশ্বেই এখন বিশৃঙ্খলা। খুবই বাজে অবস্থা।’
কিন্তু চলতি মাসের প্রথম দিকে জুডি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। সিদ্ধান্ত নেন এবার তিনি ভোট দেবেন। এবারই প্রথম পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দারা কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। জুডিও ডাকযোগে ভোট দেন।