সাস্ট আ্যালামনাইয়ের বার্ষিক বনভোজন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাস্ট অ্যালামনাই ইউএসএর বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৫ আগস্ট। ‘তোমাদের কারও কি মনে পড়ে সেই এক কিলোর কথা, যেই পথ ছিল আমাদের স্বপ্নে আঁকা সবুজের মাঝে রোঁদের উিঁক ঝুঁকি আর দুপাশে বয়ে চলা লেকের সুনসান নীরবতা’—এই স্লোগান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাস্ট আ্যালামনাই ইউএসএ এই বনভোজনের আয়োজন করে।
অ্যাস্টোরিয়া পার্কে আয়োজিত বনভোজনে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, পেনসিলভানিয়ায় নানা পেশায় কর্মরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাস্ট আ্যালামনাই ও তাদের পরিবারসহ দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
বনভোজন শুরু হয় বেলা এগারোটায়। সকাল থেকেই নিউইয়র্কের বিভিন্ন বোরো থেকে অংশগ্রহণকারীরা পার্কে জড়ো হতে থাকে। সাড়ে ১১টার দিকে সবাইকে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। এরপর শুরু হয় মূল পর্ব। এ পর্বে ছিল ছোট ও বড়দের খেলাধুলা ফুটবল, পিলো পাস, বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের দৌড়, বল নিক্ষেপ, হাঁড়ি ভাঙাসহ নানা প্রতিযোগিতা। এতে সাস্টিয়ান পরিবার ও সন্তানেরা অংশ নেয়। খেলাধুলা শেষে পরিবেশন করা হয় দুপুরের খাবার।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর পার্কের মনোরম পরিবেশে শুরু হয় ফটোসেশন। পরিচয়পর্ব শেষে একে একে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তারা বক্তব্যে ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ করেন, পাশাপাশি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। পুরস্কার বিতরণের পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফরিদ আলম ও মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, বদরুল হক, চতুর্থ ব্যাচের আকলিমা আহমেদ, সুজিত পুরকায়স্থ, তাহরিমা বেগম।
পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অসীম কুমার সরকার, সায়েদ জাবেদুর মুনির, আহমেদুর রহমান রণি, এহেছানুল হক (টিপু), তাপুতী চৌধুরী, রাজেশ কুমার শাহা, সঙ্গমিত্র দেব মুন্নী, মাহবুব আহমেদ মাসুম, মো. সাদিকুর রহমান সুফিয়ান, আজহার আহমেদ, জুনাইদ আরেফীন, শাকির হোসেন, মাসুদুর রহমান, বদরুল হক, মো. কামাল হোসেন, সিদ্দিকা চৌধুরী, হুমাইয়ারা সুলতানা, মো. আবুল কাশেম, জাফর আহমেদ, ইমতিয়াজ চৌধুরী, মো. আবু বকর সিদ্দিক, আলমগীর হোসেন, শফি সিদ্দিকী, তৌফিক আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন পিকনিক আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিএস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া।
বনভোজনে বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য আয়োজন করা হয় দৌড় প্রতিযোগিতার। সাত বছর ও এর ওপরে ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় মাহিমিন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে আইরান ও ইউসুফ। সাত বছরের নিচে ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় তাফসীর, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে রাজদীফ ও আবীর। সাত বছর ও এর ওপরে মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঊর্মি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে নাফীসা ও মাইশা। সাত বছরের নিচে মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ফাইরুজ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় অর্জনকারী যথাক্রমে জামিলা ও রাজমিয়া। বালিশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় তাসমিয়া চৌধুরী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে পলি ও লিমা। হাঁড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় তিথি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে ফরিদা ইয়াসমিন ও মাইশা।
সবশেষে আয়োজন করা হয় বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ র্যাফেল ড্র। র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি জিতে নেন রাজু, দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থান অর্জনকারী যথাক্রমে ফারহান ও পিটু। শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী ও র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাস্ট আ্যালামনাই ইউএসএর আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন ভূঁইয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফরিদ আলম ও মাসুদুর রহমান।