সাংবাদিক মুজিবুরকে মরণোত্তর পদক
মৃত্যুর ৩৫ বছর পর সাংবাদিক, সম্পাদক ও সাহিত্যজন মুজিবর রহমান খাঁকে মননশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সৈয়দ আলী আহসান সিএনসি পদক’ (মরণোত্তর) দেওয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে ৩১ আগস্ট ঢাকায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘আমাদের আলোকমালায় অনেক আলো’ প্রজ্ঞাজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে সুধীজনের বক্তৃতায় উঠে আসে সৈয়দ আলী আহসানের কথা। বক্তারা বলেন, মনীষী ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লার পর আলী আহসানের অবস্থান। তাঁকে কোনোভাবে অবমাননা করা যাবে না। ১৯৮৯ সালে সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই স্মরণসভায় সাংবাদিক মুজিবুর রহমান খাঁ’র জীবন ও কর্ম নিয়ে পৃথক আলোচনা সভা হয়। সিএনসির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক। সাংবাদিক মজিবুর রহমান খাঁর পক্ষে তাঁর পদক মেয়ে রোমানা নাসরিন কুমকুম গ্রহণ করেন।
মুজিবুর ১৯১০ সালের ২৩ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলার উলুয়াটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৬ সালে কলকাতার সাপ্তাহিক মোহাম্মদীতে সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি দৈনিক আজাদে যুগ্ম সম্পাদকের পদ লাভ করেন। ১৯৫৩ সাল থেকে মাসিক মোহাম্মদীর সম্পাদক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পয়গামের সম্পাদক পদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুজিবুর রহমান ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে ঢাকার বনানী কবর স্থানে সমাহিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি