রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অর্থনীতিবিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা এ কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই মিত্র। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক ব্রায়ান ডিজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতীয় সরকারের প্রতি আমাদের বার্তা হলো—রাশিয়ার সঙ্গে প্রকাশ্য কৌশলগত ঘনিষ্ঠতার দিকে অগ্রসর হলে তাদের জন্য এর মাশুল এবং পরিণতি হবে অনেক বেশি এবং দীর্ঘমেয়াদি।’
ব্রায়ান ডিজ আরও বলেন, ‘এই আগ্রাসনের ঘটনায় চীন ও ভারত উভয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আমরা হতাশ হয়েছি।’
ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি হয়নি। অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে তারা ভিন্ন অবস্থা নিয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিংয়ের সরকারি সফরের পর এবার বাইডেনের অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এই ইস্যুতে কথা বললেন। ওই সফর শেষে দলীপ সিং ফেরার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘সফরে দলীপ বৈঠকগুলোতে যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন সেটা হলো—রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য আমদানি দ্রুততর করা কিংবা বাড়ানো ভারতের স্বার্থের অনুকূলে যায় না।’
ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে ভারত। ইউক্রেনে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে দেশটি। তবে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত।
এ ছাড়া রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল আমদানির কথাও ভাবছে ভারত। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে আরও ৫০ লাখ ব্যারেল তেল অর্ডার করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় দুটি কোম্পানি। যুক্তি হিসেবে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলোর গ্যাস কেনার প্রসঙ্গ টানছেন ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা।
তবে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের এ অবস্থান গ্রহণে খুশি নন যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা। ইউক্রেনে আগ্রাসনের ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোয়াড সদস্যদের মধ্যে একমাত্র ভারতের অবস্থানই ‘কিছুটা নড়বড়ে’ বলেও মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।