মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে গতকাল ৯ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে দুই পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মস্কোর সঙ্গে সম্ভাব্য সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম বড় সেনাবাহিনীকে আমাদের সামলাতে হচ্ছে। পরিস্থিতি খুবই অন্যরকম। যেকোনো সময় পরিস্থিতি বিপজ্জনক মোড় নিতে পারে।’
এদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে গতকাল প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চললেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। দুই পক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়নি। যৌথ কোনো চুক্তিও সই হয়নি। তবে বার্লিনে ওই আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ বলেছেন, উভয় পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা নিরসনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই পক্ষ শিগগিরই আবার বৈঠকে বসবে। দুই পক্ষই আশা করছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের তল্লাশিচৌকিগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং বন্দী বিনিময় শুরু হবে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। এর পর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের লড়াই চলছে। এ লড়াইয়ে অন্তত ১৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটির বিস্তীর্ণ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে, তবে রাশিয়া বারবারই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে এবং বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।