মার্কিন নৌবাহিনীর এলিট ফোর্সে প্রথম নারী
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এলিট ফোর্সে যুক্ত হতে হলে বিশেষ একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হয়। স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমব্যাট্যান্ট–ক্রাফট ক্রুমেন (এসডব্লিউসিসি) নামের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রথমবারের মতো একজন নারী নৌ সেনা সমাপ্ত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির নৌবাহিনীর এলিট ফোর্সে যুক্ত হলেন নারীরা।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নেভি সিল বা এলিট ফোর্সে নারীদের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের নিয়ম মেনে ওই নারী নৌ সেনার নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
৩৭ সপ্তাহের গেরিলা প্রশিক্ষণ সফলতার সঙ্গে শেষ করায় ওই নারী সেনা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গোপন ও উচ্চ ঝুঁকির অভিযানগুলোয় অংশ নিতে পারবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে গোপন ও উচ্চ ঝুঁকির অভিযানে নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এসডব্লিউসিসি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ সেনা কঠিন ও শ্রমসাধ্য এই প্রশিক্ষণ শেষ করতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার ১৭ জন নৌ সেনা সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।
কঠিন প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে নারী–পুরুষনির্বিশেষে একেকজন সেনাকে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার পরিচয় দিতে হয়েছে। কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রশিক্ষণে তাঁদের চরম বৈরী পরিবেশে ২৩ ঘণ্টা দৌড়াতে হয়েছে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতে হয়েছে ৫ মাইল বা প্রায় ৮ কিলোমিটার জলপথ।
মার্কিন নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ডের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এইচ ডব্লিউ হওয়ার্ড বলেন, ‘নৌবাহিনীর স্পেশাল ওয়ারফেয়ার প্রশিক্ষণে প্রথমবার নারী সেনার উতরে যাওয়ার বিষয়টি অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয়। আমরা তাঁর জন্য (ওই নারী নৌ সেনা) ভীষণ গর্বিত।’
এদিকে এএফপি জানিয়েছে, এলিট ফোর্সের অংশ হতে ১৮ জন নারী নৌ সেনা আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে এবারই প্রথম একজন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে সক্ষম হলেন। তাঁদের মধ্য ১৪ জন ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ থেকে বাদ পড়েছেন।