ফ্লাইট বিড়ম্বনায় হাজারো যাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় গতকাল রোববার প্রায় ১ হাজার ২০০ ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু জাহাজের যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে। এতে বড়দিন উপলক্ষে ভ্রমণের পরিকল্পনা ছিল—এমন হাজারো যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। একই অবস্থা চীনেও। গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বড়দিনের ছুটিতে বিশ্বে সাড়ে সাত হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রে বড়দিনে ৯৯৭ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আর বড়দিনের সন্ধ্যায় প্রায় ৭০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বড়দিনের আগে ও পরে তিন দিনে কয়েক হাজার ফ্লাইট দেরিতে যাত্রা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেলটা, ইউনাইটেড ও জেটব্লু এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এসব এয়ারলাইনসের বেশ কিছু ফ্লাইট দেরিতে যাত্রা শুরু করেছে।
এদিকে চীনের পূর্বাঞ্চলে ৩৯০টি ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল হয়েছে। জিয়ান শহরে ১২০টি ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে গতকাল ৬০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যেসব এয়ারলাইনসের যাত্রা বাতিল হয়েছে, এর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমানের ক্রুরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া অনেকে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
চীনের জিয়ান শহরে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফ্লাইট অ্যাওয়ার ডটকমের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল বিকেলের মধ্যে ১ হাজার ১৭১টি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। তিনটি জাহাজকে বন্দরে ফিরতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এসব জাহাজের যাত্রীরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
এনজোলি রডরিগুয়েজ (২৫) নামের এক যাত্রীর ডেলটা এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে কেন্টাকির লেক্সিনটনে যাওয়ার কথা ছিল। বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় তাঁর ফ্লাইট বাতিল হয়। ফিরতি ফ্লাইটও তিনি ধরতে পারেননি। ডেট্রয়েট বিমানবন্দরে রডরিগুয়েজ জানান, সেখানে যাত্রীরা ক্ষোভ জানাচ্ছিলেন।