ফায়েজা হাসানাতের 'দি বার্ড ক্যাচার'
ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার ইংরেজির শিক্ষক বাংলাদেশি-আমেরিকান লেখক ফায়েজা হাসানাতের ইংরেজি ভাষায় লেখা ৮টি গল্পের সংকলন দি বার্ড ক্যাচার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জেইডেড আইবিস প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। গল্পগুলোতে আছে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানরত বাঙালি নারীর জীবনযাত্রার কথা।
এর আগে এ মাসেই ঢাকায় ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ চলাকালে ঢাকার বেঙ্গল লাইটস থেকে বেরিয়েছে বইটির বাংলাদেশ সংস্করণ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্মল অ্যান্ড মাইক্রো পাবলিশার্স এর বই নির্বাচক সংস্থা স্মল প্রেস পিকস ‘দি বার্ড ক্যাচার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ বইটিকে নির্বাচিত বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মার্কিন লেখক ডেবরা কালবের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফায়েজা জানিয়েছেন, এই বইয়ের গল্পগুলো দশ বছরের মধ্যে লেখা এবং এগুলো প্রধানত ইস্যু প্রভাবিত, প্রান্তিক, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় নারীদের অকথিত কথা এগুলোতে উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, গল্পগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে আলোচ্য ইস্যুগুলোরে দিকে পাঠকদের দৃষ্টি পড়ে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডেবোরাকে তিনি বলেন, ব্যক্তির বাসনা, আশা, হতাশা, দুর্মরতা, বিদ্রোহ, পুনর্মিলন এবং সমতা নিয়ে বৌদ্ধিকতা, সামাজিকতা, মানসিকতা ও আধ্যাত্মিকতা—এই সবই এই বইয়ের গল্পগুলোতে পাওয়া যাবে।
ফায়েজা হাসানাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তাঁর তিন শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও ফকরুল আলম ‘দি বার্ড ক্যাচার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ বইটির গল্পগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশ সংস্করণের ব্লার্বে প্রশংসামূলক মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক হিসেবে ফায়েজা হাসনাতের বিশেষজ্ঞতার ক্ষেত্র জেন্ডার-বিদ্যা, অনুবাদ বিদ্যা, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দক্ষিণ এশীয় ডায়াসপোরা সাহিত্য। ২০০৮ সালে নেদারল্যান্ডের ব্রিল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত নবাব ফয়জুন্নেসার রূপজালাল বইয়েরে ইংরেজি অনুবাদ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। এ ছাড়া ২০১৭ সালে নীলিমা ইব্রাহীমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ ‘এ ওয়ার হেরোইন, আই স্পিক’ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘দি ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় কলাম ও গল্প লিখে থাকেন।
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে ফায়েজা হাসনাত জানিয়েছেন, এখন তিনি নিজের মূল কাজ গবেষণা ও পরবর্তী গল্প সংকলন ‘লাভ হ্যাজ নো স্টোরি টু টেল’ এর রচনা ও সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।