নো-ফ্লাই জোন মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া: সিনেটর রুবিও
ইউক্রেনে রুশ হামলার মুখে দেশটিতে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার ধারণা নিয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার বিপদের দিকটিও উঠে এসেছে।
‘নো–ফ্লাই জোন’ ঘোষণার যে আহ্বান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার জানিয়ে আসছেন, সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এসেছে।
মার্কো রুবিও গতকাল রোববার সিএনএনকে বলেছেন, ‘নো-ফ্লাই জোন মানে কী, তা লোকজনকে বুঝতে হবে। এটা এমন কিছু নিয়ম নয়, যেটা আপনি পাস করেন, আর যেটা সবাইকে মেনে চলতে হবে। এটা রাশিয়া ফেডারেশনের বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার ইচ্ছা।’
মার্কিন সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মার্কো রুবিও বলেন, নো-ফ্লাই জোন মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।
অপর দিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস্টোফার মারফি ফক্স নিউজকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করাটা যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের স্বার্থের জন্য সহায়ক নয়।
ক্রিস্টোফার মারফি বলেন, নো-ফ্লাই জোন করা হলে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম ও সবচেয়ে সুসজ্জিত পারমাণবিক পরাশক্তির দেশকে একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে যেতে হতে পারে।
তবে অপর ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো মানচিন এনবিসিকে বলেছেন, তিনি নো-ফ্লাই জোনের ধারণাটিকে নাকচ করবেন না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ হামলা থেকে সুরক্ষা পেতে তাঁর দেশের আকাশে নো-ফ্লাই জোন চালু করতে পশ্চিমা দেশের প্রতি বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে তাঁর এই আহ্বানে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ সাড়া দেয়নি। জেলেনস্কির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
নো-ফ্লাই জোন প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গত শনিবার তিনি বলেছেন, যদি কোনো দেশ ইউক্রেনের আকাশে নো-ফ্লাই জোন চালু করে, তাহলে সেই দেশও এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বলে ধরে নেবে মস্কো।
রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, নো-ফ্লাই জোন শুধু ইউরোপ নয়, পুরো বিশ্বের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।