নিউইয়র্কে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের একটি পরিবেশনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের একটি পরিবেশনা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অডিটোরিয়ামে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্যের দুই নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল। তাঁরা অসাধারণ সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাসের কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির মর্যাদা দেন।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট নজরুল বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী গুলশান আরা এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান অ্যান্ড মিডল ইস্টার্ন কালচার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক র‍্যাচেল ম্যাকডোরমেট। তাঁরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল মানুষ। তাঁরা তাঁদের গান, কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক রচনার মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করেছেন।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী কাদেরী কিবরিয়া ও স্থানীয় শিল্পী শবনম আবেদী। স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে গান, কবিতা, নাটক ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।