নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন রাজুব ভৌমিক
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তা রাজুব ভৌমিক। আমেরিকায় নতুন সহস্রাব্দ প্রজন্মের রাজুব ভৌমিক কবি ও সাংবাদিক হিসেবেও পরিচিত। নিউইয়র্ক পুলিশের এই চৌকস কর্মকর্তা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের মুখ।
১০ এপ্রিল পুলিশ কর্মকর্তা রাজুব ভৌমিকের প্রচেষ্টায় বেঁচে যায় একটি প্রাণ। ওই দিন স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ম্যানহাটনের ১৪৫ স্ট্রিট সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে ড্রো টেন্ডলর নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজুব ভৌমিকের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে তাঁর জীবন বেঁচে যায়। নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি প্রায় ৩০ ফুট ওপরে উঠে আত্মহননে উদ্যত ব্যক্তির সঙ্গে ধস্তা-ধস্তি করে তাঁকে নিচে নামিয়ে আনেন।
এনওয়াইপিডি সূত্রে জানা গেছে, ড্রো টেন্ডল নামের ২৭ বছর বয়সী আমেরিকানকে সেতুর ওপরে দেখে রাজুব তাঁর অগোচরে সেতুতে ওঠেন। টেন্ডলের সঙ্গে রাজুব অন্তত ১০ মিনিট জোর-জবরদস্তি করে তাঁকে নিবৃত্ত করতে সমর্থ্য হন। এর মধ্যে দুজনেরই তিনবার সেতু থেকে হরলেম নদীতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জানা যায়, ড্রো টেন্ডল আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তাঁর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে।
এনওয়াইপিডি সূত্রে থেকে এই খবর পেয়ে রাজুব ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে পারবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, আমি যা করেছি, তা আমার দায়িত্ব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।
রাজুব ভৌমিক ২০১২ সালে এনওয়াইপিডিতে যোগ দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তিনি এমন অনেক সাহসী কাজ করে আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের খবর হয়েছেন। সাহসিকতার জন্য পুরস্কারও পেয়েছেন, যা উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশের মুখ। সাংবাদিকতা ও অপরাধ বিজ্ঞানে ডিগ্রি নেওয়া রাজুব ভৌমিক কলেজে শিক্ষকতা করেন।