ডেমোক্র্যাটদের 'বাই বাই' বলে বেরিয়ে গেলেন ট্রাম্প
চলমান অচলাবস্থা নিরসন নিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্প। একপর্যায়ে তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হলেন যে ‘বাই বাই’ বলে বেরিয়ে গেলেন। এতে মতৈক্যের প্রক্রিয়া গেল ভেস্তে।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, বৈঠকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটে ডেমোক্রেটিক নেতা সিনেটর চাক শুমার মেক্সিকো সীমান্তবর্তী দেয়াল নির্মাণে ট্রাম্পের তহবিল বরাদ্দের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর পেলোসি ও শুমারের সঙ্গে করা ওই বৈঠককে সময়ের অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ট্রাম্প শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতাদের ‘বাই’ ‘বাই’ জানিয়ে টুইট করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ডেমোক্র্যাট সিনেটর শুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পেলোসি যখন বলেন, তিনি দেয়াল নির্মাণে তহবিল বরাদ্দ অনুমোদন করবেন না, তখন ট্রাম্প রেগে যান। ট্রাম্প পেলোসিকে বলেন, “আপনি কি আমার দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত?”’
উত্তরে পেলোসি বলেন, না। এরপর ট্রাম্প উঠে দাঁড়ান। ‘তাহলে আমাদের আলোচনার আর কিছু নেই’ বলে বেরিয়ে যান। ট্রাম্প তখন খুব উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারণ, তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
শুমার বলেন, ট্রাম্প রাগে টেবিল চাপড়ান। তবে রিপাবলিক কংগ্রেসম্যান স্টিভ স্ক্যালিস তা অস্বীকার করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সাংবাদিকদের বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সমঝোতামূলক মনোভাব না থাকায় ট্রাম্প হতাশ ছিলেন। প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি জানান, ডেমোক্র্যাটদের আচরণ তাঁর কাছে বিব্রতকর মনে হয়েছে।
দেয়াল নির্মাণ ও সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের দাবি জানান ট্রাম্প। তবে ডেমোক্র্যাটরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। গতকাল বুধবার ওভাল অফিসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, অব্যাহত অবৈধ অভিবাসন ও সীমান্ত অতিক্রম করে ঢালাও হারে মাদক পাচার হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন জরিপ বলছে, ৫১ শতাংশ মার্কিন অচলাবস্থার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেন। তবে রিপাবলিকানদের ৭৭ শতাংশ মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা সমর্থন করে। দেয়াল নির্মাণে তহবিল জোগাড়ের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর থেকে নয়টি সরকারি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অচলাবস্থা শুরু হওয়ার কারণে এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আট লাখ কর্মী বেতন পাননি।
ট্রাম্পের উদ্দেশে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পেলোসি বলেছেন, কর্মীদের বেতন না পাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুভূতিহীন মনে হয়েছে।