নিম্নকক্ষে ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিল আটকে দেওয়ার হুমকি
ডাক বিভাগ নিয়ে ট্রাম্পের অশান্তি বাড়াচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা
প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ২৫৭-১৫০ ভোটে পাস
ডেমোক্র্যাটদের বিলে দুডজনের বেশি রিপাবলিকান সদস্যের ভোট
বিলের ভেটো দেওয়ার হুমকি হোয়াইট হাউসের
গতকাল শনিবার পাস হওয়া বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপন করেন হাউস ওভারসাইট অ্যান্ড রিফর্ম কমিটির চেয়ারওম্যান ক্যারোলিন ম্যালোনি। ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন ডাক বিভাগে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার পর তিনি এই বিলটি তৈরি করেন। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি কর্মীদের ওভারটাইম ভাতা ও ডাকঘরগুলোর কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে ডাক বিভাগের কিছু কার্যালয় থেকে চিঠি বাছাইয়ের যন্ত্র সরিয়ে নেয়।
এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে আগে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে ডাকযোগে ভোটের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। ডেমোক্র্যাটদের এই অভিযোগ অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু ও তহবিলদাতা পোস্টমাস্টার জেনারেল লুইজ ডিজয়। তাঁর ভাষ্যমতে, ডাক বিভাগের কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো ও ব্যয় সংকোচনের জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ডাক বিভাগের কার্যক্রম অবশ্য পোস্টমাস্টার জেনারেলের এই বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শনিবার হাউস ওভারসাইট কমিটি প্রতিনিধি পরিষদে যে তথ্য তুলে ধরে, তাতে দেখা যায়, জুলাইয়ের পর থেকে ডাক বিভাগের সেবার মান কমেছে। বেড়েছে চিঠি পোঁছাতে বিলম্বের পরিমাণ। এ বিষয়ে ক্যারোলিন ম্যালোনি বলেন, ‘এখনো যারা বলছেন যে, “কোনো বিলম্ব হচ্ছে না” এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় অভিযোগকে যারা “ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন, এই তথ্য পাওয়ার পর আশা করি তাঁরা নিজেদের অবস্থান বদলের কথা ভাববেন।’
বিলটির বিষয়ে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগে দ্বিদলীয় ঐক্যের আভাস দিয়েছিলেন। গতকাল শনিবারে ভোটের আগেই তিনি বলেন, ‘আমরা বিলটি পাস করব এবং এটি হবে দ্বিদলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে। তারপর এটি আমরা সিনেটে পাঠাব।’
এ বিষয়ে পোস্টমাস্টার জেনারেল লুইজ ডিজয়ের মুখপাত্র সিএনএনকে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র দেখিয়ে বলেন, ‘সোমবার (আগামীকাল) হাউস ওভারসাইট কমিটির সামনে এ বিষয়টি তুলে ধরতে উপস্থিত হব বলে আশা করছি।’
এর আগে গত সপ্তাহে লুইজ ডিজয় বলেছিলেন, তিনি সর্বোচ্চ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নতুন আনা পরিবর্তনগুলো স্থগিত করতে পারেন। কিন্তু এই ঘোষণাতেও ডেমোক্র্যাটরা সন্তুষ্ট হননি। কিন্তু সেই বক্তব্যকে আমলে না নিয়ে গত শুক্রবার সিনেটে দেওয়া বক্তব্যে ডিজয় দাবি করেন, নির্বাচনের সময় চিঠির চাপ নিতে ডাক বিভাগ প্রস্তুত।
আমেরিকানদের যদি সত্যিই আপনারা সাহায্য করতে চান, তবে ডাক বিভাগের জন্য তহবিলের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বেকারদের সহায়তায় তহবিল পাস করুন।ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্য হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস
শনিবার প্রতিনিধি পরিষদে আইনটি পাসের পর হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্য করে টুইটে লেখেন, ‘আমেরিকানদের যদি সত্যিই আপনারা সাহায্য করতে চান, তবে ডাক বিভাগের জন্য তহবিলের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বেকারদের সহায়তায় তহবিল পাস করুন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘তিনি স্কুলগুলোর ব্যাপারে কিছু বলেননি। ভাইরাসকে পরাজিত করার ব্যাপারেও কিছু বলেননি। কোটি কোটি আমেরিকান শিশুর খাদ্যনিরাপত্তা নিয়েও তাঁর কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এটা অগ্রহণযোগ্য।’