ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করা পর্নো তারকা গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে, এমন দাবি তোলা ও তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাকারী পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির ওহিও অঙ্গরাজ্যের স্ট্রিপ ক্লাব থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন ভঙ্গ করে এক অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকদের গায়ে হাত দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে স্টর্মিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবী মাইকেল আভেনাতি বলেন, ‘ক্লাবে যখন তিনি (স্টর্মি) নাচছিলেন, তখন কয়েকজন পৃষ্ঠপোষক তাঁকে স্পর্শ করেছিলেন। এ ঘটনায় পরে তাঁর মক্কেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এভাবে তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অবশ্য এ ঘটনায় ওই ক্লাব ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ৩০ এপ্রিলে নিউইয়র্কের এক ফেডারেল আদালতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলায় স্টর্মির দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দৈহিক সম্পর্ক ছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনের দেড় সপ্তাহ আগে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলার জন্য স্টর্মিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। শুধু তা-ই নয়, এই অর্থ গ্রহণের বদলে ড্যানিয়েলস ট্রাম্পের সঙ্গে একটি অপ্রকাশযোগ্য বা নন-ডিসক্লোজার চুক্তিতে সই করেন।
ট্রাম্প অবশ্য আগাগোড়া বলে এসেছেন, পুরো ব্যাপারটাই মিথ্যা, অর্থ লেনদেনের ব্যাপার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে ‘ওই পাগলামি কাণ্ডটা’ অর্থাৎ তাঁকে দেওয়া ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের ঘুষ মাইকেল কোহেনের হাত দিয়েই হয়েছে। তা ছাড়া এই পর্নো তারকার সঙ্গে তাঁর যে একটি নিষিদ্ধ সম্পর্ক ছিল, সেটি তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন। কোহেনের মাধ্যমে সম্পাদিত অপ্রকাশযোগ্য চুক্তিটি রদ করার জন্য ড্যানিয়েলস ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে ভিন্ন একটি মামলা করেছেন। এদিকে অর্থ লেনদেনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কোহেনের বিরুদ্ধে এফবিআই তদন্ত করছে, ড্যানিয়েলসের ব্যাপারটিও এই তদন্তের অন্তর্গত।
ড্যানিয়েলস দাবি করেছিলেন, ২০১১ সালে ‘ইন টাচ’ নামের একটি সাময়িকীর সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এই সাক্ষাৎকার যাতে না ছাপা হয় এবং ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি যাতে মুখ না খোলেন, সে জন্য টেক্সাসের এক পার্কিং স্থলে এক অচেনা লোক এসে তাঁকে হুমকি দেয়। ওই সময় ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর শিশুকন্যাও ছিল।