টোলের নগরী হচ্ছে নিউইয়র্ক!
নিউইয়র্কের অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, ম্যানহাটনে প্রবেশকারী সেতু ও টানেলের ‘ডাবল টোলিং হবে’। ২০২১ সালে এফডিআর ড্রাইভ এবং ওয়েস্ট সাইড হাইওয়ের মধ্যে ম্যানহাটনের চালু হতে যাচ্ছে নতুন হাইওয়ে। এসব এলাকায় ট্রাফিক আওয়ারে দ্বিগুণ টোল আদায়ের চিন্তা ভাবনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শিগগির এমটিএর মাধ্যমে নতুন প্রস্তাবনা পাস করে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
তবে নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফি এক বিবৃতিতে ভিন্ন প্রস্তাব করেছেন। যারা হাডসন রিভার ক্রসিংয়ে টোল দিয়ে পরে গার্ডেন স্টেট হয়ে মিডটাউনের দিকে যাতায়াত করবেন, তাঁদের বিশেষ ছাড় দিতে তিনি একটি চুক্তির প্রস্তাব করেছেন।
এ নিয়ে এক সাক্ষাত্কারে কুমো বলেছেন, ‘কিছু জায়গায় দ্বিগুণ টোলিং দিতে হবে। না হলে কিছু অর্জন করা যাবে না। মূলত রাজস্ব বাড়ানোই এই বাড়তি টোল আদায়ের উদ্দেশ্য।’
কুমো আরও বলেন, ২০২১ সালে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন হাইওয়ে। যা এফডিআর ড্রাইভ এবং ওয়েস্ট সাইড হাইওয়ের মধ্যে ম্যানহাটনের রাস্তায় চলাচলকারী মোটরযানের জন্য টোল চার্জ করবে। যা নতুন কনজেশন মূল্যের আইনে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা আছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিষয়টি কীভাবে করা হচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ জানা যাবে। তিনি বলেন, ট্র্যাফিক স্টাডি আকারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এমটিএকে ইতিমধ্যেই অবহিত করা হয়েছে। এমটিএকে টোল হার নির্ধারণের জন্য ট্র্যাফিক স্টাডি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা শিগগির প্রকাশ করা হবে।
এ ব্যাপারে এমটিএর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ফয়ে বলেন, ‘গভর্নর মারফির প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলছি, তিনি কী বলছেন তা আমরা জানি না। ক্রেডিট, ছাড় বা বহির্মুখী যানবাহন নিয়ে নিউজার্সি বা অন্য কারও সঙ্গে কোনো চুক্তি করা হয়নি।’
অপর এক সাক্ষাৎকারে কুমোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘গভর্নর মারফি বলেছেন, তিনি একটি চুক্তি করেছেন যাতে নিউজার্সির বাসিন্দাদের ম্যানহাটনে যাওয়ার জন্য দুই বার অর্থ দিতে হবে না। আপনি কি এই চুক্তিতে আছেন?’ কুমো সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি। প্রশ্নটি এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এমটিএ আগামী দুই বছরে যা করতে যাচ্ছে তা হলো, তারা ম্যানহাটনের কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক এলাকায় ইলেকট্রনিক টোলিং ইনস্টল করতে যাচ্ছে।
এমন করে যদি বাড়তি টোলের পরে আবার দ্বিগুণ টোল দেওয়া লাগে একদিন নিউইয়র্কের নাম হয়তো ‘টোলের নগরী’ হয়ে যাবে।