গ্রিন টাচের এক যুগ পূর্তি উদ্যাপন
দারিদ্র্যমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার সংকল্প নিয়ে গ্রিন টাচের যাত্রা শুরু হয় ঠিক এক যুগ আগে। ২৬ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ১২ বছর উদ্যাপন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা ল্যাংগুয়েজ সার্ভিসের প্রধান রোকেয়া হায়দার, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ এবং কুইন্সের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসের পরিচালক ব্রেন্ট ওয়াটসবার্গ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কবি ও লেখক প্রফেসর ড. রাজুব ভৌমিক, চলচ্চিত্র অভিনেতা কাজী মারুফ এবং খান টিউটোরিয়ালের পরিচালক ড. নাঈমা খান।
গ্রিন টাচের পরিচালক ভিক্টর এলাহী বলেন, ‘২০০৫ সালের ২৯ মার্চ এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিউইয়র্কে দক্ষিণ এশিয়ার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং মাদের সহায়তা করা। আর এটাই হচ্ছে এই সংগঠনের স্বপ্ন। আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এগিয়ে আসুক এবং আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করুক।’
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা ল্যাংগুয়েজ সার্ভিসের প্রধান রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘গ্রিন টাচ দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং মাদের সহায়তা করে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি আরও জানলাম যে, গ্রিন টাচ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরেও বহুদিন ধরে কাজ করে আসছে। সমাজে মানবতা সৃষ্টির এক উদাহরণ হয়ে আছে।’
চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, মেধা, পরিশ্রম এবং অর্থ সাহায্য নিয়ে হতভাগ্য রোহিঙ্গা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গ্রিন টাচকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে সাধুবাদ জানাই। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
গ্রিন টাচের ইভেন্ট পরিচালক ফারজানা হক বলেন, মূলত শিশু ও মায়ের সার্বিক উন্নতি নিশ্চিত করাই গ্রিন টাচের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন নিশ্চিত করাই এ সংস্থার একমাত্র ব্রত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা মিছিল মিটিংসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভিজিট, খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় সরবরাহ ইত্যাদি সার্বিক কার্যক্রম করে চলেছে। এ ছাড়া নিউইয়র্কে বিনা মূল্যে শিশুদের শিক্ষায় সাহায্য করছে।
রাইসা দিহানের উপস্থাপনায় গ্রিন টাচের এক যুগ পূর্তি উদ্যাপনে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিশু-কিশোরেরা।