কাউন্সিলম্যান পদে শাহ শহীদুল হকের প্রার্থিতা ঘোষণা

সংবাদ সম্মেলনে সমর্থকদের সঙ্গে শাহ শহীদুল হক

নিউইয়র্ক নগরের আসছে নির্বাচনে কাউন্সিলম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন শাহ শহীদুল হক। ১৩ সেপ্টেম্বর জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য, জনগণের মৌলিক অধিকারসহ নতুন অভিবাসীদের দাবি বাস্তবায়নে তিনি নির্বাচনী কর্মসূচি ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে— সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অপরাধ বন্ধ করা, সিনিয়র সিটিজেন এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সিটি ফান্ডেড প্রোগ্রাম, যুব নিরাপত্তা এবং প্রতিনিধিত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন ও সুষ্ঠু পরিবেশ, সাশ্রয়ী মূল্যে স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য জন্য আবাসন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, অধিক স্কুল নির্মাণ, পুলিশের বাজেট দ্বিগুণ করা, নতুন অভিবাসীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং চাকরির কোটা নির্ধারণ এবং সাবওয়ে সিস্টেম পুনঃসংস্কার করা।

শাহ শহীদুল হক বলেন, ‘আমি ৩২ বছর থেকে জনসেবায় নিয়োজিত। ১৯৯৭ সালে যখন ৬৩ জন বাংলাদেশি মিশিগানে ডিভি কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হয়েছিল, তখন আমিই আমেরিকান আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁদের জামিনের ব্যবস্থা করেছি। নাইন-ইলেভেনর পরে এফবিআই যখন ধরপাকড় করার পরিকল্পনা করেছিল, তখন মুসলিম সম্প্রদায় ছিল অসহায়। সে সময় আমি মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে এফবিআইয়ের সঙ্গে সেমিনার করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিরাপত্তা বিধান করেছি। আমি স্পেশাল রেজিস্ট্রেশনের জন্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি থেকে বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছি, যাতে সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। আমি এ পর্যন্ত অনেক বাংলাদেশিকে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভে সাহায্য করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ সময়ে সাত হাজারের বেশি পরিবারকে সাহায্য করেছি। আপনারা জানেন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমি এ সংগঠনের প্রধান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকব। আমি আমার কর্মের ফল চাই।’ শাহ শহীদুল হক বলেন, বর্তমানে ৯১১-এ কল করলে পুলিশ আসে না, আর যদিও আসে তবে দুই ঘণ্টা লেগে যায়। জননিরাপত্তার অভাবে অনেকে নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। জ্যাকসন হাইটসে রাতে চলা ফেরা করা সম্পূর্ণ অনিরাপদ। ডাইভার্সিটি প্লাজা এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ নামক পদ নয়, আমরা হব ডিস্ট্রিক্ট লিডার, কাউন্সিলম্যান, স্টেট সিনেটর, আপনারা আমার পথ সুগম করুন।’

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলম্যান পদপ্রার্থীকে প্রশ্ন ও উত্তর পর্বে সার্বিকভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সোসাইটি ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সভাপতি এম এ আজিজ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, কো-চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম ওসমান গণি, কো-চেয়ারম্যান নাজমুল আলম ও মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন। দোয়া পাঠ করেন মোহাম্মদী সেন্টারের ইমাম কাজী কাইয়ূম। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।

সমর্থন জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়াম সুইট এবং প্রিমিয়াম গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান সোহাগ আজম, জ্যাকসন হাইটস বিজনেস অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলম নমী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মেহরাজ।