করোনায় ‘করাল’ মাইলফলকের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র

করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ইতিমধ্যে ৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় দেশটিতে এতসংখ্যক মানুষের মৃত্যুকে একটি ‘করাল মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০২০ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় ৯ লাখ ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটিতে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনায় এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

করোনা মহামারিতে বিশ্বের আর কোনো দেশে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের হিসাব অনুসারে এ সংখ্যা ৯ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। আর মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৩ হাজারের বেশি।

সংক্রমিত ও মৃত্যু উভয় হিসাব বিবেচনায় নিলে করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। দেশটিতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর দেশ ভারত। দেশটিতে করোনায় ৫ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

অন্যদিকে, করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে ভারতে। এ সংখ্যা ৩ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে ব্রাজিলে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনার অমিক্রন ধরনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার এই ধরন অতি সংক্রামক বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে। তবে অমিক্রনে রোগের তীব্রতা করোনার ডেলটা বা অন্য ধরনগুলোর তুলনায় কম।

অমিক্রনের সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোয় করোনা রোগী ভর্তির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির অনেক হাসপাতাল রোগী সামলাতে চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগই টিকা নেননি। এ ছাড়া ওই রোগীদের অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন।