ওড়ার রেকর্ড ইনজেনুইটির

ইনজেনুইটি।
ছবি: নাসার ওয়েবসাইট থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মঙ্গলযান পারসেভারেন্সের সঙ্গে হেলিকপ্টার ইনজেনুইটিকে পাঠানোর বিষয়টি কেউ কেউ সহজভাবে নেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন, পারসেভারেন্স সফল হলেও ইনজেনুইটি হয়তো নাসাকে হতাশ করবে। কিন্তু এই হেলিকপ্টার এখন তার সর্বোচ্চ সক্ষমতা দেখাচ্ছে। ভিনগ্রহে মানুষের ওড়ানো প্রথম উড়োযান এটি। শুধু তা–ই নয়, মঙ্গলের কম ঘনত্বের বায়ুমণ্ডলে হেলিকপ্টারটি বেশ দ্রুতগতিতেই উড়তে পারছে। নতুন উচ্চতায় ওড়ার রেকর্ডও গড়ছে ইনজেনুইটি।

গত সোমবার নাসা ঘোষণা দিয়েছে, তাদের ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারের নবম উড্ডয়ন সফল হয়েছে। এটি ছিল হেলিকপ্টারটির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং উড্ডয়ন।

এবারে ইনজেনুইটি ঘিরে নাসার লক্ষ্য ছিল আরও বড়। হেলিকপ্টারটিকে মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে বেশি গতিতে আরও বেশি দূর নিয়ে যাওয়ার সাহসী পরিকল্পনা করেছিল তারা। এত দিন কেবল হেলিকপ্টারটি মঙ্গল গ্রহে তার সঙ্গী পারসেভারেন্স রোবটযানের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করেছে।

নাসা জানায়, এবার শুধু পারসেভারেন্সের ওপর ওড়াওড়ি না করে বালুময় অঞ্চলের সংক্ষিপ্ত পথ বেছে নেয় ইনজেনুইটি। এ পথে উড়তে গিয়ে হেলিকপ্টারটি দূরত্ব, ওড়ার সময় ও গতির রেকর্ড ভেঙেছে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি প্রতি সেকেন্ডে ১৬ ফুট (৫ মিটার) গতিতে ১৬৬ দশমিক ৪ সেকেন্ড উড়তে সক্ষম হয়েছে। এ সময় মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবিও তোলে হেলিকপ্টারটি।